আমি প্রতিনিয়ত হচ্ছি সর্বহারা,
সবের মায়ায় হারানো দু:সহ যারা,
আমি প্রতিদিনই হচ্ছি নি:স্ব,
ভীষণ দীর্ঘশ্বাসের ভিড়ে তুমি এক মহামায়া।
তুমি এসেছিলে এই নির্বাক দেহে এক ফোঁটা প্রাণের সঞ্চার হয়ে।
তবুও যখন পৌষ-মাঘের ভোরে বাড়ে উষ্ণতা,
যখন কাক ডাকে মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ধ্বংস করে,
প্রতিটি প্রভাত যেন কেবলই বাধ্যগত দিনযাপনের প্রয়াস।
মধ্যাহ্নের তেজদীপ্ত রোদে আমার তনুতে তোমার ছায়া।
অস্তমিত সূর্যের পালাবদলের পরিক্রমায়,
সান্ধ্য-প্রদীপ জ্বেলে মহারথীর অপেক্ষায়,
আরও একটি অষ্টপ্রহর গেল বৃথা ভাবনায়।
তাকিয়ে থাকি দিগন্তের সীমানায়,
যেখানে ভোর হতে হতেই নিশিযাপনের চিহ্ন মুছে যায়।
তিমির কী এতটাই কালো ছিল?
আলোর আঘাতে বোধকরি সবকিছু ছিল কেবলই বিভ্রম!
আমার ক্ষুদ্র চেতনার কিয়দংশে তুমি,
শেকড় উপড়ে ফেলা বৃক্ষের মত মৃতপ্রায়।
দিবারাত্রির পালাবদলের চক্র চলমান যে কালবেলায়,
প্রতিটি নিয়ন্ত্রণহীন দিন যেন সহস্রবার খুন হতে চায়।