কোন চরণে ছায়া মাড়িয়ে যাই অকস্মাৎ?
কোন ভোরে হারাই জগৎ-সংসারের হদিস?
কোন দিগন্তে শুধুই মায়ার খেলা?
জানা-অজানার ভিড়ে জমে থাকে স্তব্ধতা।
কিছু সত্য দোলাচলে টলে যায়।
শরীর যেন সভ্যতার ভঙ্গুর এক পরিখা—আবরণ হয়ে যায় উন্মোচিত বর্বরতা।
কিছু দৃশ্য ধারণ করে রাখে কিছু অযাচিত দিনযাপন,
কিছু অভিশাপ এসে নিঃস্ব করে দেয় মগজখানি।
যদি জানতাম কপালে এমনটাই লেখা ছিল,
তবে কপালটাই বেচে দিতাম চড়া দামে!
আমার বিষাদগুলো অমূল্য,
তাই তো চড়া সুদে খাটাই—আমারই রক্ত-বেচা জগতে।
জীবন কি পারত না এক খেটে খাওয়া মজুর হতে,
যার দিনযাপন সীমাবদ্ধ শুধুই মুহূর্তের সীমানায়?
জীবন হয়ে গেল চড়া মুনাফায় কেনাবেচা কিছু কাগজের নোট,
যার মূল্য কেবল হাতবদলের দৃশ্যপটেই দৃশ্যমান।
আমার একজন হিসাবরক্ষক দরকার—
সুদ শোধ করে কবে আসলের ভাগ বুঝে নেব?
জীবনটা যেন এক বিষাদের কারুকার্যময় শূন্য ক্যানভাস,
যা আসে, তা-ই বাড়িয়ে দিয়ে যায় ঋণের বোঝা।