আবার সেই রাতের মত অনিশ্চয়তার পরাবাস্তবতায়
ঘুমিয়ে ছিল; ঘুমিয়ে ছিল একবার জন্মের আগে,
ঘুম ভেঙে স্বাভাবিকভাবে যে প্রবেশ হওয়ার কথা ছিল;
সে প্রবেশ ছিল, প্রচন্ড মানুষের ভীর ঠেলে মানুষের জগতে।
যে রাতে প্রকৃতি বাস্তবায়ন করে নব্য চক্রান্ত!
অসীম, সীমা ছেড়ে পা বাড়ায় দরজার এপারে
কিছু ভুল-বিশুদ্ধতায় আচ্ছন্ন করে শরীর
প্রকৃতি, সীমা পেড়িয়ে ঢোকে জন্মের আগের অন্ধকারে।
রাতভর জ্বলছে যে আগুন
ঘরবাড়ি ঝড়ো তান্ডবের মত মুষড়ে পরে; ছাই হয়-
বেয়নেটের মাথায় সায়ত্বশাসন-
ঘুম ভেঙে সহশ্র বিরক্তি নিংড়ে তাকায়!
কৌতূহলী চোখে অস্ফুট ভ্রুণ সন্তনত্বের দাবী নিয়ে শোনে-
পুবের আকাশে এত ধোয়া কিসের?
সে কি লেলিহান নাকি কলুষতা; অথবা-
সঙ্গাহীন হায়নাদের কুৎসিত ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব; কিংবা -
যে আগুন জ্বলবে বলে কথা দিয়েছে শত বছরের।
মৃদু চোখে অস্ফুট ভ্রুণ প্রচন্ড কান্নায় ভেঙে পরে,
শকুনের থাবায় আর কতবার নগ্ন হতে হবে?
যেখানে আজ কুকুরের চাষাবাদ করে রাষ্ট্র;
পেটভাতা আর সম্মাননির উচ্ছিষ্ট আবর্জনা
কুকুরেরা চেটে পুটে খায়, সবকিছু;
যেখানে গণতন্ত্রের নামে অবাধে বেশ্যাবৃত্তি চলে-
রুদ্ধদ্বারের নষ্ট আবরণ ড্রেনের নোংরা জলে ভাসে,
সেখানে অস্ফুট-ভ্রুণ কিসের প্রতিবাদ জানাবে?