সুকান্ত বাবু, তুমি কি ভেবে পূর্নিমার
চাঁদ কে ঝলসানো রুটি বলেছিলে
তা আমার জানা নেই,
আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি;
তুমি কখনো বাংলা মায়ের
কোলে শুয়ে চাঁদ দেখনি,
তুমি কখনো পদ্মাপারে বসে চাঁদ
দেখনি,
তুমি কখনো রবিন্দ্রসঙ্গীত শুনে চাঁদ
দেখনি, দেখনি।
তুমি আবার আসো, আবার
ফিরে আসো জীবনানন্দের বাংলায়
আবার এসে দেখে যাও, দেখে যাও
বাংলার চাঁদ,
ভালোবাসা মাখানো চাঁদ
অন্তিমশয্যা বিছিয়ে শুয়ে না থাকা
চাঁদ।
তোমাদের ওখানকার চাঁদে দরিদ্র আর
অসহায়ত্বের ছাপ,
তুমি দেখেছিলে আর
ভেবেছিলে তোমার খাবার।
এই বাংলায় এসে দেখে নাও, আমাদের
চাঁদে ভালোবাসার মামলেট
মাখানো
আমাদের চাঁদে কান্না জমানো শত
সহস্র বছরের কান্না;
বুকসেল্ফের মত আগলে রাখা বেদনা।
শত শত প্রানের সবচেয়ে সুন্দর
কান্না জমানো,
যে কান্নার রং নীল নয়, সাদা নয়,
বেগুনী নয়, সাতরঙা।
সুকান্ত বাবু তুমি পারবে, এত রঙের
কান্না চিবিয়ে খেতে!
তুমি পারবে এত প্রানের স্বাস
থামিয়ে দিতে!
এত নিষ্ঠুরভাবে তুমি চিবিয়ে খেতে
পারবে!
সুকান্তবাবু ঝলসানো রুটি এত সুন্দর হয়
কেন বলতে পারো
সে কি ভালোবাসায় নাকি ক্ষোভে?