ঠিক ওখানেটায় নয় !
উপরে তুলে ধর, কপালের মাঝখানটায়
যখন সুন্দর নামের অভাবে নাম হয়ে যায় অনামিকা
সেটা দিয়ে নয়,
যে দুটো প্রসব করেছে অজশ্র জীবন।
ক্লান্ত পথিক পাখির নীড়ের মত চোখ দেখে হয়েছে শান্ত
যে জীবন মানুষের নয়, তাই হয়েছে নির্বিকার ভাবে!
হ্যাঁ ওই দুটো আঙ্গুলের এক চাপই আজকের জন্য যথেষ্ট
শুধু কপালের মাঝখানটায় ঠেকিয়ে একবার ট্রিগার চাপো।
কি হল,
একি! তোমার হাত কাঁপছে কেন,
নাকি ভুলেগেছ সেই বেদনার সৃতি যা তোমার সম্পদ হয়ে থাকে আমার কাছে।
আমাকে দিয়েছিলে সার্থের তোয়াক্কা না করে
বিনা সার্থে সর্বোস্ব ত্যাগ করেছিলে।
কি হল!
দেরী হয়ে যাচ্ছে তো
আজ আমার যাবার দিন
আজ আমার যেতে হবে নিশ্চিত পরাবাস্তবতায়
যেখানে আমার অপেক্ষায় একটা নক্ষত্র জ্বলছেনা সহস্রাধিক বছর
আমাকে পাওয়ার জন্য মুখিয়ে বসে আছে বারান্দায় পা ঝুলিয়ে।
চাপো, চেপে ধর আদিমতায়
গায়ের সমস্ত জোর নিংড়ে চেপে ধর ছোট্ট টিগার।
জানি তুমি পাড়বে না,
আমার দিকে তাকাও,
সহস্র বছরের বিরক্তি নিংড়ে আমার দিকে তাকাও
আর চেয়ে দেখ টেবিলের ওই কোনায়
ম্যাগদালিনের গসপেলের উপর এক পায়ে দাড়িয়ে আছে সায়ানাইডের শিশিটি,
তুমি দেখবে বলে বহুবছর ধরে স্বপ্ন বুনে আটকে আছে কাঁচের দেয়ালে।
আজ সময় হয়েছে মুক্ত হওয়ার, ছড়িয়ে পড়ার,
আমার প্রতি কোষে ছড়াবে ওর বীজ উৎপাদন করবে মৃত্যু।