তুমি শীতে আমায় বড্ড বিরক্ত করো।
এই শীত এলেই আমার দেহের সবগুলো কোষ তাদের সঞ্চার ঠিক রাখার জন্য তোমাকে কাছে চায়।
একমাত্র তুমি এলেই যেনো রাতের ঘুমটা পরিপূর্ণ হবে।
চাইলেই কি আর তোমায় পাওয়া যায়!
-তোমার অভাব পূরণে  আমার পাশে
অবলিলায় পরে থাকা কোলবালিশটার মাঝে
তোমার অস্তিত্বের ঘ্রাণ মিশিয়ে নিয়ে এতো যত্নে
নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলি "তোমায় বড্ড ভালোবাসি"।
কেমন যেনো সুখ লাগে।
চারদিকে তোমার মিশে যাওয়ার সুবাতাস!
এইযে, এই শীতে তুমি নাই
-"তোমায় বড্ড ভালোবাসি" বলার অনুভূতিগুলা যে এই শীতেও হয়।
এখন তো তোমার অস্তিত্ব টাও নাই আমার চৌদ্দ শিকের কারখানায়। এখন এই কোলবালিশ-টার কি করি বলো তো?
তার মাঝে যে এখনো তোমার অস্তিত্বর ছিটা লেগে আছে
- এখন তো আর সুখ লাগে না।
এই কোলবিশটা এখনো একটা অনুভূতির সাক্ষী হয়।
তোমার ওই অস্তিত্বের অভাবে
যে শূন্যতা আসে বুকের মধ্যে
তার যন্ত্রণায় যে আত্ম-চিৎকারে চোখ ভিজে
সেই নোনা জল সে রোজ তার গায়ে মাখে।
এতে তার কোনো অভিযোগ নেই।
একবার সুখী হয়ে আদুরে অনুভূতি নিয়ে বুকে জড়াচ্ছি
আবার দুঃখের বিতৃষ্ণায় তাকে বিষাদের জলে ভেজাচ্ছি
তার কোনোও অভিযোগ নেই।
অভিযোগ থাকবে কি করে, তার মধ্যে তো প্রাণ নেই।
তার তো অনুভূতি প্রকাশ করার শক্তি নেই।
তার কিসের অভিযোগ!
আমি তোমাকেও প্রাণহীন ভেবে জড়াইতাম নিজের বুকে।
যারে জড়াইয়া সুখী ও হওয়া যায় ভিষণ বিষন্নতা নিয়া তার বুকের জামা জলেও ভেজানো যায়।
কিন্তু তুমি তো প্রাণহীন নও তাই তোমার অভিমান হইলো
-কেনো তোমায় জলে ভিজাইলাম?
তোমার অভিমানেরা জমতে জমতে একদিন হিসেব করতে বসলো আর হিসেব শেষে উত্তরে পাইলো অভিযোগ।
তুমি সেই অভিযোগ পুঁজি করে আমার পাশে তারে ঠাই দিলে।
তারা আমার থেকে বেশি জায়গায় ভাগ বসিয়ে নিলো নিয়ে।
আমি সেখানে আর থাকি কেমনে।
তুমিও যাইতে দিলা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই।
আমি হারাইয়া গেলাম তোমার জমিন এর ত্রিশ সীমানা ছাড়াই।
-বহুদূরে!
তুমি তো একটাবার খোঁজ নিতে পারতা -তুমি নিলে না।
শুধু কি শীত? -আমার ছয়টি ঋতুর আকাশ আর চেনা প্রতিটি অনুভূতি তোমার বিরহে প্রতি মুহূর্তে আমাকে মৃত ঘোষণা করে।
এই মৃতের চিৎকার ইশ্বর শুনেছেন না?