কেমন আছো তুমি?

আমি এখনো ভালো নেই জানো।
আমি সারাক্ষণ তোমার ভাবনায় পরে থাকি, তোমায় নিয়ে গল্প লিখি কবিতা লিখি।
তোমায় নিয়ে কত কি ভাবি, যা সম্ভব না তাও ভাবি।
ভাবনায় সব সম্ভব।
আমি মাঝে মাঝেই তোমায় স্বপ্ন দেখি -তবে সব স্বপ্নে এখন আর তোমায় নিয়ে পূর্ণতা দেখি না।
জানো, আমার না ঘুম হয় না।
আমি ভুলে যেতে চাই কতকিছু।
সোহরাওয়ার্দী তে তুমি আমায় কত কিছু বলেছো আমি ভুলে যেতে চাই।
আমার বলায় তোমার মাস্ক সরিয়ে নেয়া, এখনও উদঘাটন করতে না পারা এক রহস্যময় হাসি, চোখের দৃষ্টি - এখনো পুরো দৃশ্য টা স্পষ্ট দেখি।
তোমার মনে পড়ে, এই চোখ নিয়ে একটা কবিতা লেখেছিলাম, "নাজচক্ষু"। আরও কত কবিতা লিখেছি তোমায় নিয়ে।
আমার অনেক কবি হতে ইচ্ছে করে, কবি হয়ে প্রকাশ করতে ইচ্ছে করে পৃথিবীর অস্তিত্বে -আমি তোমায় ভালোবাসি।
আমি কেনই বা তোমায় এতো অসহায়ের মতো ভালোবাসি? -এই প্রশ্ন নিয়েও কত লেখালেখি কত তর্কবিতর্ক নিজের সাথে। কত তর্কবিতর্কের সমাধান তোমার সাথে হয় অদৃশ্য কল্পনায়, শুধু হয় না তোমার ফিরে আসার জটিল সমাধান।
তবে কেনো যেনো এখনও বিশ্বাস করতে ভালো লাগে,
আমাদের আবার দেখা হবে ধানমণ্ডি লেকে, মুক্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেখবো আকাশে, দেখবো পানির ভাজে সূর্যের চোখ ঝলসানো কিরণ ঝিল এর কিনারায় বসে।
মোহাম্মদপুর টু ঝিগাতলার রিক্সা ট্রাভেল, বইমেলা থেকে হেটে আসা ক্লান্ত সন্ধ্যায় উজ্জীবিত চলাচল, আবার কখনও কাপ ভর্তি রঙ চায়ের চুমুকে আমাদের ব্যস্ত হয়ে উঠা একদিন এর পপুলার হসপিটাল।
আমাদের প্রেম সাক্ষী এক অসুস্থ মায়ের অনুভূতির।
মেডিকেল রিপোর্টস আর অপেক্ষা ও ছিলো অংশ তার।
বাসা টু হসপিটাল, আমার প্রেমিকার নিত্যদিনের কর্মসূচিতে।
আমিও অভ্যস্ত এই অনুভুতিতে।
সবকিছুর শেষেও ফিসফিসিয়ে আমার সাথে রাজ্যের গল্প করা -যে গল্পের শেষ কখনও হয় নি।
আবার হবে সে বিদায়, যে বিদায় কাছে টানে।
আমার সব অসাধ্যই বিশ্বাস করতে ভাল্লাগে,
যেমনি ভাল্লাগে আমি অনেক নামকরা কবি হবো তেমনি ভাল্লাগে তোমার ফিরে আসার অঘটন-ও।
আরও কিছু কথা যেগুলো তোমায় বলতে চাই অথচ সেই সময়টা নেই।
তুমি ততদিন যত্ন নিও নিজের যতদিন না আমার বিশ্বাস এর অনুভূতি বাস্তবতায় ফিরে।
আমি এই অনুভুতির অপেক্ষায়।

বিদায়।