নীলা, আবার দেখা হবে আমাদের ঐ গ্রামে
যেখানে মাটির রাস্তা চিকন হয়ে
অনেক দূর অবধি থামে ;
কিংবা অন্য কোনো গ্রামে মিশে যায়
কিছু শান্ত মানুষের ভিড়ে ;
আমি থাকবো তোমার কিছুটা পরিচিত
সেই আগের মতো;
উসকো-খুসকো চুল খোলা বাতাসে, সহজেই এলোমেলো হয়
কাছাকাছি এলে চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করে দেবে তুমি,
আমি অসীম উদ্বেগ ভরা চোখে তোমার দেখবো;
তুমি এসে ঢেকে দেবে,
আমার একলা জীবনের সব রন্ধ্র ।
নীলা অনেকটা রোদ্দুর বিকেলে বের হবো
আকাশের বুকে কোথাও কিছু-কিছু সাদা মেঘ জমবে
তখন কিন্তু ; গ্রীষ্মের মতো অতো গরম থাকবে না ।
চারিপাশের হালকা শীতল বাতাস
সবুজ ঘাসের গন্ধ মেশানো
অনেক দূর থেকে এসে আমাদের ছুয়ে যাবে ।
নীলা তখন তোমায় উপহার দেবো
আমার রাজ্যের শীতার্ত আকাশের মেরুপ্রভা
না-হয়; ঐ গ্রামের বৃষ্টিভেজা
মখমলে বিকেলের রংধনু
হয়তো আমার রাজ্যের উপহার তোমার কাছে অতি নগন্য
কিন্তু; বিশ্বাস কর, তোমাকে দেবার মতো আমার
আকাশ ছোয়া বাড়ি নেই; তুমি রাগ করবে না-তো ?
হালকা কাজল চোখে চশমার লেন্সে
তোমার চোখ দুটি থাকবে বন্দি
কখনো কোনো ছোয়াচে অভিমানে
পায়ে পায়ে কিছুদূর সামনে এগিয়ে যাবে ।
নীলা তোমার সব ইচ্ছে হয়তো এবার পূর্ন হবে
এবার আর - হারাবে না
তোমার মুঠো ভরে নাও
এই গ্রামের ঘ্রাণ, এই জোনাকির আলো , এই রাত
আর কিছু; নিস্তব্ধ ভাষাহীন অভিমান ।
নীলা ধরে নাও আমাদের আবার দেখা হবে
তখন; এই জীবনের মতো বিশাল ব্যবধান আর থাকবে না ;
হয়তো এই সপ্নের জীবনে নয়
সীমাহীন আয়ু থাকবে ঐ সর্গীয় জীবনের পারে
সেই জোনাকির আলো ভরা মিঠে গ্রামে
কিংবা; যেখানে আমরা এখনো বসে আছি
অনন্তকাল দুজন দুজনে
মনে পড়ে নীলা ?
সে গ্রামের মাটির চিকন পথ যেখানে থামে ......