বিয়োবার সাধ্য নেই–
রমিজের বন্ধ্যা কুকুরী তবু পোয়াতির মতো হাঁটে,
কখনও আঁতুড় খোঁজে গলির গোপনে,
সুতীক্ষ্ণ নখরে খোঁড়ে চাতালের মাটি।
এখনও প্রায়শ তার মগজের কোষে
রঙিন গোলাপ ফোটে,
কুণ্ডলী-পাকানো গূঢ় স্বপ্নের ভেতরে
দেখে তার সারা গায়ে লোমের জৌলুস।
মাটিতে চিবুক রেখে ভাবুকের মতো
কখনও ককিয়ে ওঠে অবচেতনায়,
যে রকম চৈত্রে কিংবা কার্তিকের দারুণ আকালে
খারাপ স্বপ্নের ঘোরে হুহু করে কেঁদে ওঠে স্বয়ং রমিজ।
সন্দেহপ্রবণ কোনো রাডারের মতো
নড়ে ওঠে নাকের পশম তার, খাড়ায় দু’কান
যেন নাপামের ঘ্রাণ আসছে কবলিত লেবানন থেকে।
দিব্যদৃষ্টি খুলে যায়:
দেখে এই পৃথিবীর সভ্য কিছু নাগরিক ঝোপে
রমিজের লালঝুঁটি মোরগের মতো
স্বস্তি চিবিয়ে খায় পারমাণবিক সবল শেয়াল–
সভ্যতা পাহারা দিচ্ছে এমন ভঙ্গিতে
প্রায়শ ঘুমের ঘোরে ঘেউ করে ওঠে ...
আবার তাকেও দেখি প্রতিদিন প্রথম প্রহরে
লেজুড় উঁচিয়ে ছোটে রক্তবর্ণ দিগন্তের দিকে!