মশাদের নেতা নর্দমারাজ বজ্রকণ্ঠ পুনিয়া
ফুঁসে উঠলেন নগরপিতার পরিকল্পনা শুনিয়া:
(কথায়-কথায় পূর্ণ করেছি অঙ্গীকারের ভাণ্ড;
মশা মারাটাই হবে আমাদের প্রথম কর্মকাণ্ড)
জরুরি সভায় নর্দমারাজ জানালেন: এ যে অন্যায়!
এর প্রতিবাদে মহানগরীকে ভাসাবো রক্তবন্যায়;
আমরা ঢাকার আদি অধিবাসী
পূর্ব-পুরুষ বাজাতেন বাঁশি
নওয়াব বাড়ির অন্দরে ঢুকে প্রতিটি কর্ণ-কুহরে
ডিডিটি-কয়েল ঠেকাতে পারেনি, মানে নাই কোনো ব্যুহরে।
বংশের মুখে কালি মেখে শেষে সমূলে কি পারি মরতে!
মশক ভায়েরা এবং বোনেরা, বলো তো কী পারি করতে?
মশকদলের তৃণমূল নেতা দাঁড়ালেন খাঁড়া দু’পায়ে,
হাঁকিলেন: জয়! মশাদের জয়!! দেখি মারে কোন্ উপায়ে;
দশকে-দশকে মশক বেড়েছে
কে নগরপিতা কয়টা মেরেছে?
নর্দমারাজ, আমরা বলি কী একটু ধরেন ধৈর্য্য,
ঢাকা তো থাকবে ঢাকাতেই, সাথে নর্দমা আর বর্জ্য!