জন্মের দরোজা খুলে
দাঁড়াতেই চেয়ে দেখি সাজানো অ্যারেনা:
দুঃস্বপ্নের পিশাচের মতো
শিং নেড়ে তেড়ে এলো জীবন নামের ষাঁড়!
চারপাশে দর্শকরূপী বিশাল জনতা,
হীরের পৈঠায়-বসা ক্ষমাহীন আমার সম্রাট:
বাম হাতে ঘূর্ণমান নিয়তির চাকা,
ডান হাতে ধরে আছে খোলা তরবারি–
অমিত প্রতাপ দেখে পৃথিবীর বিধাতা মেনেছি।
সুন্দরী সম্রাজ্ঞী তাঁর চন্দনের পাখা নেড়ে-নেড়ে
কুলীন হাইয়ের সাথে বাতাসে ছড়িয়ে দিল
রাজকীয় ঘামের সুবাস;
দারুণ উৎসাহে কাঁপে কোটালের চোখ;
মন্ত্রিবর্গ খেলা দেখে তুমুল উল্লাসে।
আজন্ম লড়াইলিপ্ত এই আমি কখনও ষাঁড়ের
দর্পিত ঘাড়ের রগে খুব ক’ষে মোচড় লাগাই:
হাততালি দিয়ে ওঠে উত্তেজিত বিমুগ্ধ জনতা,
উড়ন্ত বর্শার মতো কখনও-কখনও
ছুটে আসে একজোড়া দয়াহীন শিং,
গেঁথে ফেলে নির্দ্বিধায় এ-আমার বুকের পাঁজর;
অ্যারেনা কাঁপিয়ে তোলে বুনো এক ফোঁপানির ঝড়।