বশীকরণের মন্ত্র শিখিনি,
নীল খামে কোনো পত্র লিখিনি,
তবুও চেয়েছি মন বিকিকিনি
                  দীনহীন কিছু পদ্যে—

শব্দে-ছন্দে এই দূতিয়ালি
ব্যর্থ হয়েছে তবু খালি-খালি
এখনও বইছে ক্ষরণের কালি
                  ধমনি-শিরার মধ্যে।

উবে গেছে আশা হয়ে কর্পূর,
বাঁশি থেমে গেছে তবু বাজে সুর,
যত যায় দূরে ততই মধুর,
                  ঘোরে-পাওয়া এই সত্তা—

ঘুমের ভেতরে নিদ্রাবিহীন
শুনি সেই সুর সারানিশিদিন;
দেহ ক্ষয়ে গেছে, আছে শুধু চিন,
                  তারও নেই নিরাপত্তা।

আমার পৃথিবী বর্তুলাকার:
যে-রেখায় আমি ঘুরি চারিধার
কেন্দ্রে রয়েছে সেই সে-রেখার
                  একটি নিছক বিন্দু—

বুকে তার বল সেন্ট্রিপেটাল
টান খেয়ে যার হয়েছি নাকাল,
পেরিয়েছি খানাখন্দ ও খাল,
                  তেরো নদী-সাত সিন্ধু।

একদা কখন কবে কুক্ষণে
দেবী-না-মানবী কিছু নেই মনে
একা নদী-তীরে নাকি নীপবনে
                  দেখা দিয়েছিলো সত্যি—

নাকি আমি নিজে শুনে নিশিডাক
পথে নেমে এসে খাই ঘুরপাক;
এই গতিবিধি মিথ্যে বেবাক,
                  মানে নেই একরত্তি!