পূজারী

ভেতরে প্রবেশ কর সন্তর্পণে,
দেখবে এক সরু মেঠো পথ
চলে গেছে সম্মুখপানে

পথের দু'ধারে দূর্বা ঘাসের নির্লজ্জ বাড়াবাড়ি
সামনে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই দেখবে
তোমার বা'পাশে বয়ে গেছে এক সরু শান্ত নদী,
পশ্চিমের কুসুমাকৃতি সূর্য
তার বুকে ঢলে পড়ার অপেক্ষায়।

আর মাত্র মিনিট দু'একের পথ
দেখবে একটা মন্দির।
অনেকটাই পুরাতন
শেওলা জমে কালচে হয়ে গেছে
মন্দিরের গায়ের ইট খসে খসে পড়ছে।

ভিতরে উঁকি দিলেই চোখে পড়বে
বেদিতে ঝকঝকে এক আবক্ষ নারীমূর্তি।
মূর্তির মুখাবয়ব অবিকল তোমার মতো

সেই নাক,সেই ঠোঁট, সেই কপোল
সেই কান, সেই গ্রীবা
শুধু যেখানে একজোড়া চোখ থাকার কথা
সেখানে কিছুই নেই।

মন্দিরে পূজারী কেবল একজনই
খানিক অপেক্ষা করলেই তার দেখা পাবে
তারই নিপুণ হাতে গড়া এ দেবী
পূজারীকে চিনতে পারছ?

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছ, এটা আমি।
এ পূজারী সৃষ্টি করেছে তোমায়
আগলে রেখেছে তোমায়
অহর্নিশ পূজো দিয়ে চলেছে তোমায়,

পাছে বিরক্ত হও, ভ্রু বাঁকিয়ে হাসো
তাই চোখ দেয়নি...