দাও হে দাও মোরে
ভাসবো জলের তরে
বক্ষে জননী নাও আপন করে।

দুখ সীমাহীন ব্যথিত জীবন,
দাও পবিত্র ভরা এক মন
শপথ নিয়ে গড়িব দু নয়ন।

ফিরিয়া চাহিয়া দেখি আমার হাতে
উদার চোখের জলের ফোটা তাতে
জীবন চলিয়া যায়, আত্মারা সাথে।

কি লিখবো খাতায়, দুর্ভাগ্য টলালে
হৃদি মাঝারে কম্পন,বেলা একা কাটে
ভাসমান নৌকা স্তব্ধ খেয়াতরী ঘাটে।

মিছে সুখ খুঁজি, জীবনের শেষ প্রান্তরে
কালো মেঘ ঢেকে যায় নাহি তারা সড়ে
ভরে যায় বুক যে, কত স্মৃতি মনে পড়ে।

যদি এই বেলা ভুলে,হারিয়ে যাই সেই ফুলে
যেথায় মধুর গন্ধ ছড়ায়,চোখের অশ্রু ঝরায়
যত্ন করিয়া তাকে রেখেছো কি তুমি তুলে।

তোমাদের ছাড়িয়া যদি আমি কোনো একদিন
মনে করো ছিলো সে তো যার ক্লান্তি বিরামহীন
ভাঙ্গা আয়নার মতো খুঁজে পাওয়া বড্ড প্রাচীন।

জানি সকলেই যাবে ভুলে,চলে যাওয়ার পরে
কাঁদিবে না যে কারো বুক এই অসহায়ের তরে
তবু করিও কামনা যেন এই, সে শান্তিতে মরে।

জ্বালার আগুনে পুড়বে দেহ, উঠিবে যে চিতায়
জ্বলে ওঠা শরীর শান্তি পাবে সকলের কামনায়
আমার তরে কেউ করিও না শোক,
চাই আমি তোমাদের ভালো হোক।

চলে যাবো, ভাবলে ভাবো দিয়ে গেলাম ফাঁকি
স্বাধীন হয়ে উড়বো পাখি হয়ে মেলে দুই আঁখি
সত্যি বলতে হয়তো জীবন এইটুকুই আছে বাকি।