ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে, ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফিরছিল
                                             এক প্রৌঢ়।
বয়েস, এই বছর চল্লিস হবে।
সে জানতো না, এই ভর দুপুরে মোটর সাইকেল নিয়ে
                                 দুজন অপেক্ষা করছে তার জন্যে।
যখন জানতে পারল, ততক্ষনে তার পেটে ঢুকে গেছে
                                 মানবতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক !
পেটে হাত দিয়ে বসে পড়ার পর, সে দেখলো,
তার মেয়ের আসন্ন বিবাহটা দুজন অপরিচিত যুবকের সাথে
একটি মোটরসাইকেলের পেছনের সিটে বসে
চলে যাচ্ছে দূরে, তার দৃশ্য সীমার অনেক অনেক বাইরে।

সেই দিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে শপথ নিল
এ দেশের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। অনেক কুয়াশার মধ্যেও
সেদিন বিকেলে সূর্য উঠেছিল অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষককে
                                                  অবাক করে দিয়ে ...
দুপুরের এই হিংসাত্মক কাহিনী, হাজার মাইল অতিক্রম করে
পৌঁছল কি নতুন সূর্যের কানে? একটা মৃত্যু, এক ফোঁটা রক্ত,
                                      গড়িয়ে গড়িয়ে পৌঁছে গেল দিল্লি ?

আমি জানি না। আমরা কেউ ই কিছুই জানি না।
আমরা শুধু দেখি, সেই চুরি হওয়া বিবাহের টুকরো গুলো
মাঝ রাতে চাঁদের রশ্মি ধরে নেমে যায় পৃথিবীর বুকে।

আর বন্দুকের বারুদ গন্ধ গায়ে লেপে টোকা দেয় আমাদের নাকে...
কানের খুব কাছে তার উষ্ণ ঠোঁট দুটো ছুঁইয়ে
ফিসফিসিয়ে জজ্ঞেস করে,
                                  মেয়েটার তো আর বিয়ে হল না ...
                                                                   বলো ?