সমুদ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে পালাতে গিয়ে দেখেছি
সমুদ্র চোরা শিকারির মত পেছন পেছন ধাওয়া করে।
পার্শ্ববর্তী গহিন অরণ্যের পাতায় পাতায় ঠোঁট ঘষে মুছে নিয়েছি ক্লান্তি,
সমুদ্র সেই অরণ্য ধ্বংস করেছে নিমেষে।
অথচ তেষ্টায় জ্বলে গেছে জিভ থেকে অন্ত্র পর্যন্ত,
সেদিন ভাটার জল বহুদূরে ... সূর্যের আলোয় শরীরের দীর্ঘ ছায়া
শেষ হয় বালির ওপর।

অনেক গোপন মুহূর্তে সমুদ্রের খোলস বদলানো দেখেছি।
আকাশের গভীর সুনীল শুষে নিয়ে কীভাবে নিজেকে সুন্দরী করেছে সে ...
হীরকখচিত রাতের তারাগুলোকে নিজের গায়ে অভ্রর মত ছিটিয়ে
নিজেকে মায়াবী দ্যুতিকন্যা করেছে,
নিঃশব্দে ভেতর ভেতর পালন করেছে বায়ুমণ্ডলের থেকেও বৃহত্তর জীবজগৎ।

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের রাতে, দেখি,
হাজার হাজার বালিমানব মূর্তি হয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছে পাশ থেকে।
তাদের সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, সবার ক্ষণস্থায়ী অপাঙ্গে আক্রোশের দ্যুতি ...

ওরা কিছুতেই সমুদ্রকে ছাড়বে না ...