সবাই প্রহর গুনছে।
ঘড়ির কাঁটা গুলো ছাড়া,
কারো কোনও শব্দ করার অধিকার নেই।
কারণ, কিছুক্ষণ পরেই,
জন্মাবে একটি সন্তান।
তাই সবার চোখে মুখে,
আনন্দ, আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তার
একটা মিশ্র ছাপ।
কিন্তু সন্তান যদি হয় মিস্কার্যাজ!
না। তাহলে চলবে না!
খবরের কাগজের হেড-লাইন,
ম্যাগাজিনের কভার পেজ,
নিউজ চ্যনেলের এক্সক্লুসিভ,
সবাই ছুটবে পেছনে।
স্যর, বাচ্চা টা মরল কেন?
ডাক্তারের দোষ নাকি মায়ের?
স্বামীর দোষ নাকি শ্বশুরের?
উত্তর একটা চাই। তা না হলেই,
জবাই হবে নার্স কিংবা সুইপার।
এদের জন্য কারণ অবশ্য রেডি।
সূচ হীন ইঞ্জেক্সান ফুটিয়েছিল নার্স,
বা, সকালে ঘর ঝাঁট দেয় নি সুইপার।
তাই সন্তান মিস্ক্যরাজ হওয়া চলবে না।
তা ছাড়া, বাচ্চা নষ্ট হলে,
এত দিন ধরে চলতে থাকা এত
গুলো মানুষের কষ্ট, সিমপ্লি নষ্ট।
তাই বাচ্চাটার ও একটা
দায়িত্ত থাকা উচিৎ,
সে যেন ভাল ভাবেই জন্মায়।