লিঙ্গকে তুমি পূজা কর,
ভাবো সব শক্তির রূপ
যোনির উপর জোর খাটানো কী
সেই শক্তির স্বরূপ?
পাথরের যোনি পূজা কর
খাও মাংসের যোনি ছিঁড়ে
এই দ্বিচারিতা কেন কর -
জবাব আছে শিরে?
পাথরকে তুমি মা বানিয়ে
দৈনিক পূজা কর,
মানুষ মাকে খেতে দিতে
কষ্ট লাগে কী বড়?
আর কবে তুমি মানুষ হবে?
ফিরবে কবে হুঁশ?
পাপের ঘড়া যে উপচে পড়ে
এখানে চলে না ঘুষ;
সত্যি চলে না ঘুষ।
যে তোমাকে জন্ম দিলো
তাকেই পথে ফেলে
খুঁজলে তুমি পাথর মাঝে -
মাকে, মা! মা! বলে।
দেখতে তুমি মানুষ ঠিকই
নয়কো মায়ের ছেলে
হতে যদি মায়ের ছেলে
না মজে ভাই ছলে
রাখতে মাকে মাথায় তুলে
পাথর ছুঁড়ে ফেলে;
তুমি! নওকো মায়ের ছেলে।
পাথরে নেই ধর্ম ধর্ম
মায়ের সেবায় আছে
কিন্তু তুমি বুঝবে না তা
চিত্ত যে ডুবেছে
পাপে - পাপে - পাপে - পাপে
পুরোটাই ডুবে গেছে।
জন্মদাত্রী সৃষ্টি করেছে
পাথরে ব্যবসা আছে;
এটা জেনেও যে রয়! যে রয়!
ওই পাথরের কাছে
চিত্তে তার সারাবেলা
স্বার্থ লোভই বাঁচে
চিত্তে তার সারাবেলা
স্বার্থ লোভই নাচে।
ভক্তও নয়; ব্যাটাও নয়,
সে রয় পাপের কাছে
দেখনদারিই সার হয় তার
স্বার্থ লোভেই বাঁচে
পাপ পুণ্য সবই এথায়
সে রয় পাপের কাছে;
পাপ পুণ্য সবই এথায়
সে রয় পাপের কাছে।
রাখলে মাকে খরচ ভীষণ
পাথর একটু খায়
মানুষ মাতো জন্মই দেয়
ভাবে, পারটা হায়
পাথর - পাথর - পাথর - পাথর,
পাথরই লাগায়
তাই হয়তো পাথরেই আছে
মজে তোমার হৃদয়;
যদি পারটা যায় পাওয়া যায় -
সেই আশায় - সে আশায়।
এপার হতে পরোপারের
চিন্তা খায় যারে,
মায়ের থেকে পাথর তারে
টানে ভীষণ জোরে।
হেলা করে জননীরে
বছর - বছর ধরে
মণ - মণ - মণ পাপ কিনে যায়
জোরে - জোরে - জোরে।
যে ভাবে হায়
সব মুছে যায়
পাথরটা ভজেরে
সে পাপেই ডুবে রয়।
যতই সে ভাবুক এটা
পাপ, তা ভাবেনারে,
পাপী! পাপী! পাপী ওটা!
সাজা ওর হবেরে
তারই বাট্যা, এই জীবনে
সমূলে ফেরাবে
সুদে আসলে! সুদে আসলে!
ঠিক ফিরিয়ে দেবে
সাজা ওর হবেরে।
এই জীবনে ওরে।
সাজা ঠিক হবেরে।
মানুষ মাতা কথা বলে
পাথর বলে না, চুপ!
কথা বলে তাই হয়তো,
ভাবো, দুর্বল খুব।
বুঝে গেছো তুমি
জানি আমি - আমি
বোধহয় - বোধহয় - বোধহয়,
মারবে না সে তোমায় - তোমায়
তাই করেনা ভয়।
পাথর মাতা বলেনা কথা
তাই গা ছমছম ভয়।
আসলে তুমি মায়েরও না;
পাথরেরও না মানি
তুমি শুধু নিজের নিজের
এটাই জানি আমি।
মানুষ মায়ে হেলায় ফেলে
পাথরে মা খোঁজা,
কমাতে চাওয়া! কমাতে চাওয়া!
পাপবোধের বোঝা।
যে বোধটা খায়গো তোমায়
নিত্যদিনই জানি
মাংসের কাছে স্বীকারে ভয়
তাই বেছেছো জানি,
পাথর - পাথর! পাথর, পাথর!
তুমি, তুমি, তুমি!
ভাবছো এতে, কমে যাবে হায়
খানিক তোমার পাপ
পরপারে কাটবে ভালো
পড়বে না এর ছাপ
কিন্তু তুমি বুঝলে না হে,
মানুষ মায়ের দাম
বুঝতে যদি ধরার মাঝেই
পেতে স্বর্গ ধাম
মরার পরে কী হবে ভেবে -
যে ভজে হায় খুব
পাথর পাথর পাথরকে হায়
দেখিয়ে প্রদীপ ধুপ
এই দুনিয়ায় সবচেয়ে বড়
বেকুব, সে বেকুব!
মানুষ হলে, পূজতো মায়ে,
আসলে সে বেকুব।
মানুষ মাতা বকে একটু,
আদর করে খুব
পাথর মাতা চুপ।
পরপারের চিন্তাতে, হীন!
তাইতো দেখায় ধুপ।
কারন কারন বুঝে গেছে সে
মানুষ মায়ে তার,
করবে না ক্ষতি, তাই তাই তাই
চিন্তায় পরোপার।
তাই হয়তো পুণ্যের মোহে
পাথরে, ভজে - মজে
কিন্তু বোঝে না মাকে হেলা
ডোবায় পাপে তাকে।
জানিনা জানিনা পাথর পূজে
কী পুণ্য হয়?
জননীর সেবা, পুণ্য! পুণ্য!
আর কিছুই নয়।
যে করে না - সেটা! সেটা!
সে পাথরে পুণ্য চায়
তার চেয়ে বড় পাপী! পাপী!
নেই কেউ দুনিয়ায়;
তার চেয়ে বড় পাপী! পাপী!
কেউই আর নয়।
তাই পাথর ছাড়ো
মানুষ তুমি মায়ের স্মরণ নাও
মৃত্যুর পরে নাই কিছু নাই
বেঁচেই স্বর্গ পাও
মায়ের স্মরণ নাও।
মায়ের চরণ স্বর্গ! স্বর্গ!
পাথরে ভাগাড় পাও।