ইতর যখন রাজ্য চালায়
ইতরতা সব স্বীকৃতি পায়
চুরি করে - বুক ফুলিয়ে -
ইতরগুলো ঘুরে বেড়ায়।
ইতর যখন রাজ্য চালায়
মান-সম্মান ঘরে লুকায়।
নির্লজ্জতা বহরে বাড়ে,
চাষ শুরু হয় ফাঁকা মাথায়।
ইতর যখন রাজ্য চালায়
লাজ - লজ্জা ধুলোয় গড়ায়।
চারপাশে বাড়ে বর্বরতা,
অসভ্যতা অম্বর ছোঁয়।
ইতর যখন রাজ্য চালায়
সমাজ জুড়ে অসভ্যতা
বাড়ে - বাড়ে - বাড়ে, এতো জোরে তা,
হারায় সমাজ সব একতা।
ইতর যখন রাজ্য চালায়
বৈচিত্র্য ধ্বংস করে,
তার রুচিতে দেশ চালাতে
আইন আনে গায়ের জোরে।
চোখে চামড়া, কোনোদিনই হায়
ছিলোনা - ছিলোনা ইতরের হায়
রাজ্যের ভার, পেলে - পেলে সে
আরও নগ্ন - অশ্লীল হয়।
ইতর যখন রাজ্য চালায়
চারপাশে বসে বেহায়ার হাট।
ইতরগুলোর ভিড়ের চাপে,
লাঞ্ছিত হয় সব প্রতিবাদ।
প্রশ্ন ইতর শুনতে চায় না
শোনায় শুধু তার গান খানা
প্রতিবাদ তাই ধুলোয় গড়ে
ইতর গড়ে ইতরখানা (ইতর তৈরির কারখানা)।
প্রতিবাদ বা ক্ষোভ - বিক্ষোভ
কবে দাগ কাটে ইতরের মনে?
বিবেকের ঘরে তালা ঝোলে যার
সে কী বোঝে যুক্তির মানে?
প্রতিবাদ হলো যুক্তি! যুক্তি!
ইতরের তো অন্য চুক্তি
সভ্যতা নয় অসভ্যতায় -
পায় মুক্তি! পায় মুক্তি!
ইতর কখনও যুক্তি বোঝেনা
বোঝে শুধু সে ডাঙেশ্বরই
বাঁকা বাঁশকে করতে সোজা
প্রহার দেওয়া খুব জরুরী।
দরকার হায়; চাইছেও তাই
এ লগন, এ লগন,
সিধে করতে ইতরগুলোকে
প্রহারের প্রয়োজন;
চাইছে এ লগন।
"মানবাধিকার?" কার-কার-কার?
যে কেড়ে খায় আমার খাবার!
আমাকে মারতে চায়!
তার অধিকার রক্ষা করা,
আমার দায় নয়।
যে অধিকার দেয় না আমার
লুঠ করে হক হায়
তার অধিকার রক্ষা করা
আমার দায় নয়।
তাই যে ভন্ড, গায় দিনরাত,
মানবাধিকার গান
জানে কী সে? জঙ্গলে হায়,
চলে না সেসব গান
ইতরতার জঙ্গলে আজ
সভ্যতা বিপন্ন
তবুও যারা ঢাকে এসব
তারা আসলে জঘন্য
ইতোরগুলোর ইতরতা বাড়ে
শুধু তাদের জন্য।
ইতোরগুলোর ইতরতা বাড়ে
শুধু তাদেরই জন্য।
ইতরকে কেউ ধোলাই দিলে
কাঁদে পরান তাদের,
ইতর যখন কাউকে মারে
হয়না কিছুই বের
মুখ থেকে হায় - মুখ থেকে হায়,
হয়না কিছুই বের;
ইতরকে কেউ ধোলাই দিলে
কাঁদে পরান তাদের।
ইতরের আছে মানবাধিকার -
এদের অভিধানে।
ইতর যাদের মারে, তাদের,
কে জানে? কে জানে?
মানবাধিকার কোথায় আছে;
কোন সে অমোঘ স্থানে?
তবে জানে মন, নেই - নেই - নেই -
এদের অভিধানে।
আসলে এরা, মানবদরদী
মোটে নয় - মোটে নয়!
সাধুর বেশে, শয়তান এরা
নেই এতে সংশয়
মানবতার একমুখী গান
বেচে - বেচে এরা খায়
আসলে এরা মানবদরদী
মোটে নয় - মোটে নয়।
ইতর সে, ইতরতা যে,
ছড়ায় ছড়ায় হায় -
এটাই দুনিয়া কয়।
কিন্তু আমার কলম বলে -
ইতরতাকে যে দেয় প্রশ্রয়
ফুটো কথার জালে;
তাকেও ইতর কয়।
ইতর সে, ইতরতা যে,
শুধু ছড়ায় না হায়,
সেও, যে এদের এদের
ঢাল হয়ে দাঁড়ায়;
দুটোই ইতর হায়।
আসলে এদের, ইতরই পোষে
যাতে ইতরতা পুরো গোগ্রাসে
গিলতে পারে - গিলতে পারে
সমাজটাকে ভাই
বসে বসে এ, শুধু প্যাঁচ কসে
কীভাবে দোষটা ঢেঁকে দেবে সে
সারাদিন ধরে তাই।
ছাড়! ছাড়! ছাড়! এর কথা ভাই
লাঠি ছাড়া আর কোনো গতি নাই
ইতর বোঝেনা মুখের ভাষা
লাঠির ভাষা চাই;
অনেক হয়েছে মুখে বলা
এবার লাঠি চাই;
ইতর বোঝেনা মুখের ভাষা
লাঠির ভাষা চাই;
অনেক হয়েছে মুখে বলা
এবার লাঠি চাই;
এবার, লাঠিই বলুক ভাই।