আকাশে এখনো সেই চাঁদ!
হয়তো বা বয়েস বেড়েছে ঢের!
তবু দৃপ্ত পায়ে হেঁটে চলে সাথে,
রাধা চূড়া গাছের নীচে থেমেছে এসে সে,
একটু জিরিয়ে নিতে আজ এই সন্ধ্যায়।
ঘরে, রাস্তায় তখন জ্বলে উঠছে আলো।
বাতাসে আজানের সুর গেছে ভেসে দিনের কিনারায়।
সন্ধ্যা আরতির আমেজ মন্দিরে মন্দিরে।
বারান্দায় : ছোট্ট মেয়ে দিনের শেষ এক্কা দোক্কা খেলায়।
আজ কোনো কাজ নেই তার আর, নেই কোনো তাড়া।
তার চাঁদমুখি মা গা ধুয়ে নিয়ে খাওয়া শেষে,
বসাবে আধশোয়া ছাদে আজগুবি গল্পের আসর।
শুনে শুনে ছোট্ট মেয়ে ঘুমে পড়বে ঢলে।
পরীদের ওড়নায় মাখা জোনাকীরা মেলবে
মাঠে মাঠে কুয়াশার চাদর।
চাঁদের মত বড় টিপ পরে বধু সেজেছে আজ,
আকাশে ওঠা প্রথম তারার মত স্নিগ্ধ নাকছাবি নাকে।
সোহাগের সিঁদুর রঙে ঢেকে যাবে এক বিনিদ্র প্রহরে।
ঈদ এর চাঁদ আজ এসেছে হয়ে প্রৌঢ় প্রেমিক তার কতদিন পর!
আরক্তিম স্বপ্ন চোখে কাটবে সে চাঁদের বুকে রূপালী নখের আঁচড়!
অভিমানী মোম জ্যোৎস্নার তরলতায় বিছানা ভেসে যাবে আজ রাতে,
ওদের দুই হৃদপিন্ডের উষ্ণতার ঘ্রাণ নিয়ে।