নমস্কার! আমি সুভাষ বলছি।
আমাকে ইস্কুলের এক মাষ্টার মশাই না
'নেতাজী' বলে ডেকে খুব লজ্জা দিতেন!
আমি ছোটবেলায় স্কুলে লাস্ট বেঞ্চে বসে
পড়ার বই এ ওনার জল ছবি তুলেছি।
ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখেছি :
টিয়ারঙ সৈনিকদের কোট পরা,
ঠোঁটের রঙ টকটকে লাল এক ফটো।
মুখ কিরকম ফোলা ফোলা,
বোধহয় হাতে আঁকা ছবি।
আমার নামেই এ পাড়ায় আমার প্রমোটারির বিজনেস:
লোকাল 'জয় হিন্দ' বালি ভালো কাটে!
আমি সন্ধ্যায় পাড়ার যে ক্লাবে ক্যারম্ খেলি,
তার নামও 'নেতাজী সুভাষ সংঘ!'
এবার অনুদান পেয়েছে! গতকাল গেছে রক্তদান!
আর বসে আঁকো নেতাজীর ছবি প্রতিযোগীতা।
তেইশে জানুয়ারি আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর,
নিজে এবার নেতাজী সেজেছিলেন!
খুব ফর্সা কিনা তাই বেশ মানিয়েছিল!
ঠিক ঐ রকম ঠোঁট লাল করেছিলেন!
বাবার হাত ধরে একটি বাচ্চা ছেলে উৎসাহে চেঁচিয়ে উঠল :
'বাবা ঐ দেখ ঐ তো নেতাজী সুভাষ!
তুমি না বলেছিলে উনি অমর,
তাই কি কুচকাওয়াজে ভাগ নিতে এসেছেন?"
বাবা বললেন 'চুপ করো, তুমি বড্ড বাচাল হয়ে যাচ্ছ।'
'কেন? বাবা কেন এরকম বলছ? আমি কি করলাম!'
সত্যিই! আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই:
ওনাকে কতরকম ভাবে মনে রেখেছি আজও।