খুঁটিনাটি অনেক কিছু করলাম,
বাকি থাকা কাজ, গান শোনা,
ফেসবুক... আর কি করি?
ঘুম নেই চোখে...............
বিড়ি ধরিয়ে কলম ধরলাম।
কি লিখি? ভাবতে ভাবতে মনে এল,
সেদিন রাতে এয়ারপোর্টের সেই
চাওয়ালা। “কটা বাজে দাদা?”
কত আর হবে তখন, রাত এগারটা।
“লাস্ট ট্রেনটি পাবতো?”
হেসে আমি, “ হ্যাঁ পাবেন”।
“দাদা রিক্সায় যাবার পয়সা নেই”
তাকালাম,”না না, হেঁটে গেলেই পাবেন”।
“বাড়িতে ছেলে মেয়ে দুটো আছে,
বউটি হয়তো না খেয়েই আছে,
মার অসুখটি বেড়েই চলেছে”।
শুনশান রাত... দুটো লোকের
পায়ের শব্দের তালে মেতেছে,
হঠাৎ,”বিড়ি খাবেন?” না করলাম না।
“জানেন দিনে আগে দুহাজার টাকা সেল হত,
এখন মেরে কেটে চারশো ও হয়না”।
আমি কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
নতুন এয়ারপোর্ট, ঝাঁ চকচকে,
সাজানো গোছানো মল, হাত বাড়ালেই
ত্রিশ টাকায় চা, খাবেই বা না কেন?
সময়ের অভাব। বড্ড দামী সে।
ছুটছে ঘড়ি, টিকটিক...............
পা পিষে মানবিকতা,
মাড়িয়ে ঐতিহ্য, এগিয়েছে সভ্যতা।
যেতে হবে বিলেত, করতে হবে নাম,
পচুক বুড়ো বাপ মা, ঘরে একা,
প্রতীক্ষায় বুজে যাক চোখটা।
দেখতে হবে স্বার্থ, হোকনা
প্রেম ব্যর্থ, সময় কোথায়?
ওইসব বাজে সময় নষ্ট।
জয়ী কৃত্তিমতা।
মিটি মিটি হাসে প্রকৃতি,
হার মেনে কানে এসে বলে,
“ফিরবি তো তুই আমারি বুকে”।
ভাবতে ভাবতে ফ্ল্যাটের সামনে,
কখন পৌছেছি খেয়াল নেই,
"দাদা চললেন?" হেসে আমি,
"বাড়ি পৌছে গেছি"............
আবার,"ট্রেনটি পাবতো? কাল সকালে
মাকে ডাক্তার দেখাতেই হবে......"
হেসে সম্মতি জানালাম।
অন্ধকার ঘরের চাবি খুলে,
চুপটি করে শুলাম,
কাল যে আবার ছুটতে হবে।
টিকটিক..................