তোকে ভেবেই আমি লিখেছিলাম কবিতা,
তোকে নিয়েই করে চলেছি, আজও কাব্যিকতা।
সেদিন কোন এক মিষ্টি রৌদ্র মাখা সকালে,
দাঁড়িয়েছিলি তুই, ওভারব্রীজের তলায় বাসস্টপেজে।
মৃদু শীতল বাতাসের ছোঁয়ায়, আলতো চুলগুলি,
তোর ডান চোখে নামে, দেয় হালকা সুড়সুড়ি,
হাত দিয়ে সরিয়ে, একঝলক তাকিয়েছিলি আমার পানে,
কিভাবে যেন জড়িয়েছিলাম, বেদনাতুর প্রেমের জালে।
লাল টপ আর জিন্স, সানগ্লাস চোখে.....................
অচেনা গম্ভীর ছলনাময় তাচ্ছিল্যের হাসি,
কোথায় গেল সেই..........................................
শরতের আকাশে টুকরো টুকরো মেঘের আড়ালে,
কোজাগরী পূর্ণিমাতে লক্ষ্মী মিষ্টি চাঁদের গালে
টোল পড়া, চেনা মনমুগ্ধকর হাসি।
বিনিদ্র চোখে, অন্ধকারে খুঁজি, তোর হৃদয়ের জোছনা,
পৌঁছে যাই, ঘন আঁধারে মেঘে ঢাকা আকাশের নীচে,
এক নিস্তব্ধ নিঃসঙ্গ সমুদ্রতটের বালিয়াড়িতে..........
কান পেতেছি পাথরের গায়ে...... গোঁ গোঁ আওয়াজে,
সমুদ্রের কান্না.........আর ঝোড়ো হাওয়াতে,
নিদ্রাহীন ঝাউ পাতার গোঙানির অস্পষ্ট শব্দ।
ভেসে যাই, ঐ দূরে...... টিমটিমে বাতি জ্বালানো,
মাছ শিকারী তরীদলে মিশে....... দুলতে দুলতে,
তোর হিয়ার সূর্যোদয়ের রক্তিম কিরণের সন্ধানে,
রক্তমাখা নীল সমুদ্র-পরানে বিলীন হবার আশাতে।
এইভাবেই চলতে চলতে, আসে সেই পড়ন্ত বিকেল,
জীবনের রস শুকিয়ে মনে আলুনি লাগে,
নোঙর ফেলে বসে পড়ি, এক অজানা দ্বীপের বুকে,
আলস্যে লুটিয়ে পড়ি, উলু আবৃত চাদরের ওপরে,
সাতরঙা রামধনুর আড়ালে তোর মিষ্টি হাসি ভাসে,
লাল হলুদ গাঁদা ফুল বর্ষণে, পাড়ি দেয় রবি,
এক ঘুটঘুটে অন্ধকারময় ঘুমের দেশেতে...........
ঘুমহীন ক্লান্ত আমার চোখ, বুজে যায় নিঃশব্দে,
অন্তহীন তোর প্রতীক্ষা, একাকী জেগে থাকে......