অর্থ ক্ষমতালোভী সমাজ
আজ ভূপতিত।
নিশ্চুপ নিস্তব্ধ নির্বাক আমি,
ভুলেছি প্রতিবাদের ধ্বনি,
আত্ম সুখে নিমজ্জিত,
আমি শুধু মধ্যবিত্ত।
  
না,
একফোঁটাও আসেনা চোখে জল।
          নারীর শরীর, ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত,
          বেচা কেনার বাজারে পণ্যে পরিণত।
          হাজার অসহায় নারী,
          ভ্রূণ থেকেই নিঃশেষিত।

ভোটের বাজারে বেঁচে গেল
ডাক্তারের পিছিয়ে পড়া ছেলেটি।
ডাক্তার হবার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল,
দিন রাত খেটে খাওয়া,
রিকশাওয়ালার আধপেটা ছেলেটির।

না,
একফোঁটাও আসেনা চোখে জল।
           চাষার জোটে না দুবেলা দুমুঠো অন্ন,
           বেমালুম হয় আত্মহননের শরণাপন্ন।
           লাশের পাহাড়ে পতপত করে ওড়ে
           ক্ষমতার ধ্বজা,
           বারুদের গন্ধ বাতাসে মেশে।

দাঁড়িয়েছে তারা, চালাবে গাড়ী শৃঙ্খলাতে,
ভিক্ষুকের বেশে, জড়িয়ে পড়েছে বিশৃঙ্খলাতে।
করেছিল শপথ, দেবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা,
অর্থ লোভে তারা সবচেয়ে বড় গুন্ডা।
সাধারণ নিরপরাধ মানুষের বেড়েছে হয়রানি,
বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলে শয়তানের মস্তানি।

না,
একফোঁটাও আসেনা চোখে জল।
         বই ফেলে শিশু ধরেছে ভিক্ষার ঝুলি,
         চায়ের কাপ ধরে, বাসন মেজে
         লাগিয়েছে সমাজের কুৎসিত কালি।
         প্রেম ভালবাসা দায়িত্ব কর্তব্য ঐতিহ্য
         ডাস্টবিনে নিক্ষেপিত, ধ্বংসস্তূপে পরিণত,
         অর্থ খ্যাতির দৌড়ে আমি যন্ত্রে রূপান্তরিত।

আওড়াই সততার বুলি, অসৎ পথেই আছি বেশ সুখী,
পাছে কেউ প্রশ্ন করে, তার আগেই টুটি চেপে ধরি,
সাধারণের প্রাণটি পিষে নতুন দিগন্তের স্বপ্ন দেখি।
মেধা ছেড়ে অর্থ দিয়ে বড়সড় ডিগ্রী কিনি,
সাত সমুদ্র পার করে পরের ভৃত্যতা করি।

না,
বলা হলনা সব কথা, বাকি রইল অনেক কিছুই।
              বেশী কিছু আর বলতেও চাইনা,
              এইসব কিছুই মনে থাকবে না,
              নিজ সুখ ছাড়া কিছুই চাইনা।
              আমি কোনও বিপ্লব চাই না,
              আমি কোনও পরিবর্তন চাই না।
              আমি, আমি ছাড়া কোনও কিছুতেই
              মাথা ঘামাতে চাই না।

যেমন চলছে চলুক,
যেদিকে স্রোত, সেদিকেই চলি,
আমি শুধু মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী।