ছুটে ছিলাম একদিন দূরের ঐ মরীচিকার পিছনে
ভেবেছিলাম ধ্রুবতারা হয়ে পথ দেখাবে জীবনের এই অন্ধকার কূপে।
ছিল না সেই বট বৃক্ষ, ছিল না সেই শান্ত শীতল বারিধারা
হয়তো হারিয়েছে আপন সুখ সন্ধানে, হয়তো বুনেছে আপন স্বপ্নমালা।
পারিনি অন্তর সাগরে ডুব দিয়ে গরল পান করতে, পারিনি দিতে জীবন উষ্ণতা
অমাবস্যার রাতে তাই ছেয়ে আছে মোর অন্তর শূন্যতা।
ছুটে ছিলাম একদিন দূরের ঐ মরীচিকার পিছনে
উপেক্ষা করেছিলাম চারিদিকের আনন্দধারা, মেতে ছিলাম নিস্ফলা সুখে।
স্বপ্ন ভেঙ্গেছে, বিশ্বাস গুঁড়িয়েছে, অশ্রুসাগরে নয়ণ ডুবিয়েছে
দগ্ধ আগুনের উত্তাপে বুকের বজ্রাঘাতে নিশিরাত জাগিয়েছে।
পারিনি পাথর সরাতে, ভেঙ্গে যায়নি আটকে যাওয়া জলরাশির স্তব্ধতা
কেশ কাল মেঘাছন্ন পূর্ণিমা রাতে পড়ে আছে মোর অন্তর শূন্যতা।
ছুটে ছিলাম একদিন দূরের ঐ মরীচিকার পিছনে
গর্ব রেখেছিলাম, ভালবেসে ছিলাম, ভাসিয়ে ছিলাম মন আকাশে।
আজ বুঝি বৃথা ছিল সেই আশা, বৃথা সেই ভরসা, বৃথা সেই প্রতীক্ষা
দেখা যায়, যায় না তো ধরা, তাই তো সন্ধান করি নতুন এক আলোক দিশা।
ছুটি রুদ্ধশ্বাসে, কাজ করি নির্ভেজাল একমনে, ভুলে থাকি নীরবতা
তবুও কেন ক্লান্তির রাতে জেগে থাকে মোর অন্তর শূন্যতা?