প্রিয়তমা, কল্পনার প্রিয়তমা-
তোমারে দেখে মনে হয় ঝর্ণার থেকেও সুন্দর।
রাতের অন্ধকারে তোমারে দেখলে মনে হয় রাতের পরী-
অথবা ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়- রাজহংসীর রানী-
তখন দেখে তোমায় হারিয়ে যায় সব উদাসীন কবি।
তোমারে দেখে মনে হতো শত শতাব্দী পেরিয়ে
মধ্যরাতে কোনো এক শিল্পীর আঁকা জলছবি।
প্রিয়তমা,অনুভবের এক সুন্দরী নারী
আমারে খুন করেছে তাঁর প্রেমের আবেগে;
এখন আমি শুধু ভেবে ভেবে মরি।
নীলাকাশের রাতের এক উজ্জ্বল তারা তুমি
বিকেলের শেষ আলোয় তুমি অনুতরী।
আবহকাল ক্রমে সমুদ্রের রাশি
শত শত বনময়ূরীর পেখমের বাণী
পুঁতে দিয়েছে অনায়াসে তোমারই চোখের আড়ালে।
আমার হৃদয়ে জন্ম নিয়েছিল প্রেম বৃক্ষ
বুঝেছি এই বৃক্ষ আমারে বিদায়ের বার্তা জানায়;
নিত্য প্রেমের অনুভূতির আকাশ বেয়ে
তোমারি বিহনে প্রেম জাগে অনুপমে ,
সেজন্যই তুমি আমার গোলাপ বৃক্ষ হলে।
পৃথিবীর অনিবার্য রাত্রির কাছে
জ্যোৎস্নায় মৃত হরিণীরা জেগে ওঠে
শীতল সমুদ্রে গা- ভাসাবার জন্য;
সেই আদিকাল থেকে অপেক্ষায় থাকা পুরুষ হরিণেরা
পুরানো প্রেমিকাদের ফিরে পাওয়ার আশায় তাঁরাও জেগে ওঠে
মৃত থেকে; তখন ঝাপ দেয় শীতল সমুদ্রের বুকে।
শীতের কুয়াশা ঘেরা ঘন রাতে
হারিয়ে যায় প্রেমিক-প্রেমিকা।
প্রিয়তমা ঠিক এমনই করে তুমি
হারিয়ে গেলে হরিণীর সঙ্গী হয়ে,
সেই দুঃখে বনের সকল পুরুষ হরিণ
আত্মহত্যা করলো একে একে।
তুমি যদি আমার মনের প্রিয়তমা হতে
তবে কভু দূরে যেতে না চলে !
প্রান্তরের অনাবিল ঘাসের উপর বসে
দিন গুনে যায় তোমার অপেক্ষাতে।।