কোনো অভিযোগ নেই, কোনোও আর।
সেদিন অবধিও কিছু বলার অপেক্ষায় উঠেছিল দ্বাদশীর চাঁদ।
অনেকটা অস্পষ্ট আবেগ আর তেমনই একটা দুটো-
মেঘলা মনের অতি নগন্য আর অসংলগ্ন
কিছু কথা বুঝি ছিল তোমায় বোঝাবার।
মুখের কোনো ভাষা যে সেথায় অর্থহীন!
যখন হঠাৎ স্থবির হয়ে যায় এ জীবনের
অবিচ্ছেদ্য ভাবে নিজের মনে করে নেওয়া কিছু গোলাপি সময়,
তখন হায়, প্রেমের কাছে মাফ চাইতে আসতে হয়
হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা-নীল-ঘুম-জ্যোৎস্নায় -
আর অনেক গুলো একসাথে মৃত্যু যন্ত্রণা যেন
নিটোল ভাবে প্রশমিত হতে থাকে বুকের ভীতর।
গুঁড়িয়ে যাওয়া ব্যথা দিয়েও তৈরী হয়
অভিমানের কেলাসিত অপুষ্ট অবয়ব কিছুদিন!
তারপর, শিশিরের মতো ক্ষীণায়ু কাল নিয়ে ঝরে যায় অনাদরে।
জেগে রয় আরো কিছুকাল শুধু ছড়ানো স্মৃতি-পূঁতী-মালা।