জীবন দিয়ে যায় অনেক, নিয়ে যায় বুঝি তার কিছু বেশি!
জীবনে বুক বেঁধে খেলা করি তবু কত!
গান গেয়ে চলি, আরো জীবনেরই পথে আসি।
এক শিশুর জন্মকাল যেন ফুলের মতন!
দুরন্ত বালকের পায়ে ক্ষিপ্রতা বলে জীবন কবিতা।
পেশায় পিষে, শেষে হারিয়ে যাওয়া তার, ব্যক্তিগত মালিকানার কর্মরত হওয়া হিসাবের খাতা।
প্রেমিকার মুগ্ধ চাহনিতে প্রেম!ওষ্ঠে চুম্বনের কত ভিজে অঙ্গীকার।
তারপর হরিণী-চঞ্চল- গ্রীবায় একদিন, স্থূলতা-মাসকাবারির শীতল সংসার!
কি মায়ায় তবু ঘুরছি যে কত সুদে ঋণে ষ্টেটাস্ এর এই মার্বেল মোড়া জীবনে!
মুক্তমনা প্রাণ তাই অতি যত্নে লালিত- শাসিত, আজ চার দেওয়ালের প্রাইভেট করা পৃথিবীতে।
এই জীবন বুঝি নিজ নিজ ভল্ট্ এ রাখা চিরস্থায়ী,পার্মানেন্ট,
মনের একান্তই নিভৃতে!
কবি পারো কি তুমি ঐ সখের ময়ূরকন্ঠী ব্যালকনির ষ্টিরিওটাইপ্ ভেঙে বেরতে!
পারো কি সূর্যের অষ্টম বর্ণছটা এক মনে মেনে নিতে!
পারো কি কবি মোমের আলোয় মাধবী রাত ভুলে যেতে!
সাহসে, চাঁদের বয়েস এ এসে প্রৌঢ- প্রেম খেলা চাঁদমুখী চাঁদের সাথে!
ভাঙা ভালোবাসা বুকে নিয়ে যাবে কি আজ শেষ পলকের ঘুমে?