পিছনে দীপজ্জ্বালা ব্যস্ত শহর ছেড়ে প্রান্তরের পথে
তোমার কাছে চলে এসেছি আজ,
সুখ নয় আর, হাত জোড় করে শুধু একটু শান্তি ভীক্ষার জন্য,
এ সংসারের শুভ কাঙ্খিত দের সব রঙীন
রাংতা খুলে রেখে!
বল্লমের ফলার মত ঝকঝকে,
ইস্পাত শানিত নক্ষত্রেরা যেন এক ফালি করে
তেরছা আলো জ্বেলেছে এই বসন্ত সন্ধ্যায়!
দূরে বারুদের উষ্ণ গন্ধ মেখে হাওয়ায়,
উড়ছে দু একটি ফেরারী মেঘ।
কেয়া ঝাড়ে রূপালী ঝিলমিল জোনাকীরা করছে সময় নিয়ে খেলা।
ঠিক এরকম অন্ধকার-উম্-শরীর-ঘ্রাণে,
প্রেমের ঝালর-চোখে হেঁসেছিলে একদিন তুমি!
হাতে হাত রেখে এসে, ভালোবেসে।
কান শুনেছে যৌবন-কথা,
ঠোঁট ছুঁয়েছে কত ভীজে অঙ্গীকার,
অন্ধকারে বসে ফাগুন মনে ভাবছি তাই একা।
মনে তবু আজ সেই কাল :এ পৃথিবী পন্য হয়নি তখনও
কেবল জীবিকার তরে ক্ষুধার্ত প্রজন্ম এসে নিশ্বাস ফেলেনি ঘাড়ের কাছে এতো।
কথোপকথন ছিল মানুষের অবাধ
ফায়দার লোভে রাজনৈতিক ভাবে নির্ভুল হতে শেখেনি তখনও এ সংসার!
পেঁজা তুলোর মত হালকা দিন গুলো
আর রাত ছিল : স্বপ্ন সন্ধানী!
এর চাইতে সরল নির্লিপ্ত পৃথিবী আর কি চাই কি জানি!
যাদের আজও মনের বয়েস বাড়েনি!
মূর্খের মত ভালোবেসে মনের নিস্তব্ধতাকেও ভাবের আদান প্রদান মনে করে যারা,
হায়! এ সংসার যে করে তাদের গণপ্রহসন, বাক্যের নির্মম প্রহার।
বাধ্য করে সকল সম্পর্কের অসহায়, ব্যথাময় পরিহার।
এ পৃথিবী নির্লিপ্ত থাকে তখনও
ঘুরে চলে নিজ অক্ষের উপর অনন্তকাল অবিচল।