চিলেকোঠা ছাদ ছুঁয়েছে বিকেল-রোদ।
মেঘ, ভেসে চলে গেছে কবে!
ঝুলন খেলা ফেলে পড়ে আছে আজ,
একলা ঘরের উদাস মায়াবী কোন।
তুমি আর আমি সময়ের সাথে চলে,
পৌঁছে গিয়েছি কখন অনেক ক্লান্ত-পথ পায়ে নিয়ে,
এ শহরের মানুষের ভিড়ে, মানুষ-মুখোশ পরে,
হৃদয়ের নিশ্চুপ গভীর থেকে আরো গভীরতর কোনো একান্তে।
দেখনি কি তুমি নতুন প্রজন্ম-প্রেম কত নিষ্ঠুর করে স্মৃতি কে বিচূর্ণ করে!
নিস্তব্ধতার মোড়ক থেকে সময় উন্মোচন করে,
খেলা করে, তারপর ছুড়ে ফেলে দেয় হেলায়!
কেটে যাওয়া সকল উষ্ণ সময় মৌন হয়ে আছে তাই তোমাতে।
চোরকাঁটা এসে ঘিরেছে অতীত:
-আমাদের হেঁটে যাওয়া পথ আরো নিবীড় করে।
ওরা কারা আসে? কারা যেন আসে!
কেন বসন্ত চলে যায় একদিন হায় ওদের সাথে!
ইশারায় কারা কথা বলে চলে নিশিদিন?
কারা ছেয়ে থাকে অবচেতনায়, রাতের ঐ গিসগিস তারায়!
অন্ধকার ঘিরে মাঠে মাঠে জোনাকি-রাত জ্বালে ওরা কারা!
কারা আনে ঝিঁঝিঁর একটানা তান প্রাণে?
তুমি কি বুঝেছ জীবনের এই ফলিত ভীষন রূপ?
তুমি কি ঝাড়বাতি ফেলে দেখেছ কখনও রাতের নিরব কালো?
অস্ফুট স্বরে শুনেছ কি ওদের আমোঘ আহ্বান কানে!
দেখেছ কি চরাচর গেছে পোয়াতি চাঁদের মাঝ রাতে ভেসে,একা,
ছিন্ন করে সব কিছু, প্রার্থনা, এ পৃথিবীর উদযাপিত সকল সময়!