ঘুম ভেঙে যায়। অনেক রাত!
ঘুমন্ত দেওয়াল ঘড়িতে সময় বিস্মৃত তখন।
শরীর বুঝি হার মেনেছে এবার।
যত ব্যথা ভারে স্বপ্নের মত কথা বলা,
আর মগজে হাতড়ানো অকারণ স্মৃতির খোলস।
বেড সুইচ্ জ্বালতে হাত বাড়ানোর বাড়তি ক্লান্তি এসেছে ঘিরে।
এই জীবনের পদ্মপাতায় টলমল করছে
জল ঢাকার উপর রাখা বাড়তি ঘুমের ওষুধ।
জানালার জাফরির ভীতর দিয়ে এসে পড়া
রাস্তায় ল্যাম্প পোস্টের শেষ ফালি আলো জানিয়ে যায়,
আলো নেই আর, সময় ভালো নেই'!
যে দাঁতাল পিছল নেকড়েরা নিয়ম করে এতকাল
কামড়ে ছিঁড়ে খেয়েছে তাদের তৃপ্তি হয়নি যে আজও!
ঐ যাদের নঁখ,দাঁত অবধি পড়ে গেছে চিবিয়ে খেয়ে
ওরা মাথার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে ঠিক ভীড় করে সঙ্গে নিয়ে এই রাত জাগা রাত।
ওরা দাঁতহীন শিরা-উপশিরা-ঝোলা অভিব্যক্তি নিয়ে হাসছে বিকট হাসি।
নির্ভুল ভাবে মৃত্যু দিতে চেয়েছে ওরা!
মন জমির সরল নাবালক ফসল নিরবে নিঃশেষ করেছে।
উপহাস করেছে নির্মম ভাবে,খেলেছে জীবন নিয়ে ওরা সবাই।
ভাবেনি কি একবারও যে চলমান মৃতদেহ কে,
মৃত্যু দেওয়া যায় না নতুন করে আর!
মনেরও হয় রাইগর মরটিস্।
সব অসাড়, সব ঠান্ডা পাথর করে দিয়ে একদিন!
আর সাড়া জাগানো যায় না কিছুতেই,ওরা জানে না তা।
তাই কোন মোহে মিছে, ব্যথা দেয় ভেবে চলে আজও।