ঘাসের মাঝে জন্ম আমার, নেইযে কোন তুল,
সৌন্দর্যে কম নই, তবুও নামহীন একটি ফুল।
প্রজাপতি ছুটে আসে বসে আমার গায়,
ছিটে ফোটা একটু মধু তবু তারা পায়।
অযত্নে, অবহেলায় জন্ম, জানেনােআমার নাম,
তৃণের মাঝে ফুটি বলে দেয়না কেউ দাম।
ভেবেছিলাম জন্ম নিয়ে ভরাবো সবার মন,
ভালবেসে আদর দিয়ে করে নিবে আপন।
কারো গলায়, খোঁপায় পেলাম না তো ঠাঁই,
সুবাস বিহীন জীবনের কোন দাম নাই।
ফুল নিয়ে কতজনে গাঁথে গলের মালা,
আমায় দেখে দৃষ্টি ফিরালে বাড়ে বুকের জ্বালা।
প্রিয়ার হাতের ফুল যখন প্রিয়ের খোঁপায়,
একটু আদর না পাওয়ায়, ভাবি আমি অসহায়।
কাছে আসে, চেয়ে থাকে তবু ছোঁয়না মোরে,
পথের পাশে জন্ম বলে মিলেনা ঠাই কারো ঘরে।
জুঁই চামেলী, শিউলী, বেলীর ওদের কত আদর,
কতজনের খুশির দিনে হয় তারা দোসর।
সব দিবসে সবার হাতে নানা জাতের ফুল,
লজ্জায় ভাবী আমার জন্ম নেয়াটাই ভুল।
ঝড়ো বাতাসে নাচি আমি ছড়াই সৌন্দর্য,
নিজেকে ভাবী আমিও বাংলার ঐতিহ্য।
রূপ, জীবন সব আছে, নেই শুধু সুবাস,
অনাদর, অবহেলায় জীবনটা যে হতাশ।
ফুলদানীতে মিলেনি ঠাঁই, তা যে কত কষ্ট,
একটুখানি গুণ নেই বলে, জীবনটাই নষ্ট।
সুবাস নেই, গুণ নেই, আমি রূপে অতুল,
আদর, সোহাগ কিছু নেই, কারণ আমি বুনোফুল।