স্বপ্নের আদেশ আদায় করেও
দেখেন সেই স্বপ্ন আবার,
ইব্রাহীম (আ) ভাবে ইসমাঈল
ছাড়া প্রিয় কিছু নেই আর।
ক্ষুরধার তরবারী গায়ে সাটেন
সবার অজান্তে,
হাজেরাকে কন, গুছিয়ে দাও
নিবো শেষ দিগন্তে।
তের বছরেই ইসমাঈলের (আ)
সেকি তাজ্জব জ্ঞান!
বাবার মুখে শুনেই পুত্র পিছু ছুটে
জীবন করতে কোরবান।
হাজেরা (আ) স্বামীর মুখে শুনে
খুশিতে বাগ, বাগ,
আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিতে
তনু-মনে খুশি চকচক।
ইসমাঈল(আ) বলে, বাবা বেধে
দাও যাতে না নড়ি,
চোখটাও বেধে নাও তোমার
যেন, মায়ায় না জড়ি!
চালাবে ছুড়ি, হবে কোরবানী
ইসমাঈলের চিৎকার !
চমকে ইব্রাহীম (আ) বলেন,
কী হলো, তোমার ?
সত্যের প্রতীক, ইসমাইল কয়
খুলে দাও সব বাঁধন,
প্রভু বলবেন, রাজি নই, শক্তির
জোড়ে, করেছো এমন!
কোথায় হারালো এমন ঈমান ?
কীসের এত অহং ?
ত্যাগের সেই দিনটি পেলেই কেন
বাড়ে এত ঢং ?
কিশোর ছেলে, মায়াবী মা আর
বাবা ইব্রাহীমের উৎসর্গ,
আল্লাহর নির্দেশে এমন দৃশ্যে
কাঁপে গগন, বাযু, মর্ত!
আল্লাহর আদেশ পালনে ছিলনা
কিঞ্চিত অবহেলা,
নির্বাক পৃথিবী! অবাক মানবতা!
নিবৃত্ত্ব করেনি মায়ার জ্বালা।
নির্দয় পরীক্ষার নিষ্ঠুর! আদেশে
আনুগত্যে অটল সবে,
তাকওয়ার সবটা বুঝেই বিধাতা
নেতৃত্ব দেন ইব্রাহীমকে।
আল্লাহর খুশিতে, তিন জনের
সেকি! ত্যাগের কোরবানী,
এমনটি পেরেছিল বলেই তারা
পেলো প্রভুর মেহেরবানী।
কখনে পাব না, প্রভুর সে দয়া,
ত্যাগ হয়েছে, আনন্দ!
ইতিহাসের সেই শিক্ষা ভুলে
কেমন! নষ্টামীর ছন্দ!
যেটা ছিল, নবী, রাসুলদের (সা)
জীবন-মরনের ছন্দ,
প্রেক্ষাপটকে পাল্টে কারা আনলো ?
ঈদে, নোংরা আনন্দ ?