রাত গভীর হচ্ছে
কে যেনো বারবার ডেকো তুলছে
কে.. কে..
আমি ব্রহ্ম্রদৈতি।
আমি ভয়ে চুপসে যাই
আলো জ্বালি, মৃদু থেকে প্রখড় আলো দেই
কাউকে দেখা যায় না।
ঘুমানোর ভান করি।
আবার খরমর খরমর করে ওঠে।
কে.. কে..
আমি মামদো ভূত...
আমি মেছো ভূত....
আমি ভয়ে ভয়ে আবার আলো জ্বালি
আশেপাশে কেউ নেই
পুরো বাড়ি হালকা হাওয়ায় শা শা করছে
জ্যোৎস্না আর আধো আলো আধো হাওয়ায়
জানালা কাঁপিয়ে যাচ্ছে।
নিজেকে বলি জ্যোৎস্নার আলো ঢেকে দে
জ্যোৎস্নার আলো ঢেকে কি করে!
আরে গাধা জানালা বন্ধ করে দে।
জ্যোৎস্নার আলোর শাঁকচুন্নিদের দালাল যে..
জানালা ঢেকে দে...
হঠাৎ ওপাশ থেকে কেউ বলে উঠলো
আমি শাঁকচুন্নি!
ভয় পেয়ো না, তোমাকে পাহারা দিচ্ছি।
অন্যজনের আওয়াজ শোনা যায়,
আমি ঝাউ
আমি জলার ভূত
তোমার আপন জন।
আমি হকচকিয়ে যাই, কেঁপে উঠি।
সারা বাড়ি কেউ নেই
তবুও মনে হয় কেউ যেনো আছে
শুধু জালায় আর কাঁদায়।
আলো নিভিয়ে রাখি খেলা দেখি
মাঝে মাঝে দু'একটি শোলই ইদুর দৌড়ে পালায়
রাত নিঝুম হয়, বুক কাঁপে
আমি একা হই, গভীর রাতের মতো একা
যত একা হই ততই শাঁকচুন্নিরা ভয় দেখায়
নিজেরা নেচে যায়, আনন্দ পায়।