কোন মেধাবীকে ধ্বংস করতে চাও?
সহজ উপায়
চকচকে চ্যাপলি মাছ তাঁর পেছনে লাগায়ে দাও!
ব্যাস্,  একটু দূরে থেকে খেলা দেখে যাও।
দেখতে পাবে, মেধাবীর মেধা মোমের মত ধ্বসে যাবে
ভেঙে ভেঙে পরবে মেধাবীর বুদ্ধির পলেস্তারা।

কেউ একজন লিখেছিলেন, চ্যাপলি মাছ
পুরুষকে উপরে উঠাতেও পারে আবার নামাতেেও পারে!
পুরুষ চ্যাপলি মাছের সমান সমান, গাড়ির চাকার মত।

এখন আদুটে বাঙালি পুরুষের মগজে একটাই চিন্তা
চ্যাপলি মাছ লাগবে, সময়ে অসময়ে লাগবে
ঘরেরটা পরেরটা বনেরটা হাটেরটা মাঠেরটা
লকলকে সবটা লাগবে।
চ্যাপলি ব্যতীত তরকারি লবণহীন, যন্ত্রণাদায়য়ক উপোস।

আমার অবশ্য কপাল খারাপ চ্যাপল্যি মাছ রাধার সুযোগ হয়নি।
আরো কপাল খারাপ পুরুষকে উপরে তোলার দৃশ্যও দেখিনি
আমি শুধু দেখেগেলাম কত ফাস্ট ক্লাস সুরসুর করে লাস্ট ক্লাস হয়ে গেলো
কত কাতল পুঁটি মাছ হয়ে ইলিশের পেটে গেলো
কেউ উপর জিনিসটা চোখে দেখলো না।

আমি শুধু দেখলাম কত মেধাবী চকচকে আলোর ঝলকানিতে অন্ধ হলো
সদ্য টগবগে ঘোড়া বিড়াল হয়ে ম্যাউ ম্যাউ করলো
কতজন মালিক থেকে ফতুর হলো, ঐ চ্যাপলির ছোঁয়ায়।

আমি দেখলাম চকচকে চ্যাপলির বালিয়াড়ি ঝড়
দেখলাম গন্ড অসার, যেটা দশটার পাঁচটা বানান ভুল করে
সেও রুই কাতল, ইলিশ, ইবলিশ ছাপিয়ে ছেলিবেট্রি বনে গেছে!
ছেলিবেট্রির মজা পুকুরে ভিডিও বক্সে ফাঁদে।
জলের নিচ থেকে মুখ তুলে মদের শিশ দিলে
লক্ষ কোটি মশা-মাছি পুকুরপাড়ে ভির করে!

কত কাব্যে উপরে তোলার গল্প দেখলাম,
বাস্তবে দেখিনি, হয়তো নজরে পড়েনি!
হতে পারে দুর্ভাগ্য আমার, আমার চোখের।

পৃথিবীতে ভাইয়ে-ভাইয়ে, সিনিয়র-জুনিয়রে চ্যাপলি দখলে যুদ্ধ! লজ্জা হয়।
আমার মুখ ঢাকতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে লুকিয়ে থাকি দুচার মাস-বছর।
যুদ্ধ হচ্ছে, মাইনকার চিপায় ফেলার যুদ্ধ, চর দখল যুদ্ধ
যেমন দেখা যায় বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের বল দখলের মহারণে
দখলের মহারণ, মালিকানার মহারণ।

মালিকার দ্বন্দ্ব দেখলাম, দেখলাম সুস্বাদু চ্যাপলির মালিনায় ধ্বংস হতে, সর্বশ্রান্ত হতে
ভাইয়ে ভাইয়ে ধ্বংস যুদ্ধ , সিনিয়র-জুনিয়রে খাসজমি দখলের উদাম যুদ্ধ।
ধ্বংস চলমান, যুদ্ধ চলমান, চলবে।

যুদ্ধ শুরু ট্রয় নগরীর ললাট দিয়ে, পুড়ে
শেষটা নিশ্চয়ই সভ্যতার ঘারে, মুখ লুকিয়ে।
আমি উপরে উঠতে চাই না, চাই না নিচে নামতে
আমার দখলে চ্যাপলি মাছ নেই, আমার নেই কোন প্রবোধ
নেই অভিলাষী মন
আমি লবন দিয়ে ভাত খাই, তরকারি দরকার নাই।
সভ্যতার কাছে ক্ষমা চাই, দু'হাত জোর করে ক্ষমা চাই
ওরাই রাজা, ওরাই রানী
হোক রাতের, হোক দিনের
অথবা;
হোক জলের-স্থলের।
খোঁজ নিয়ে কী হবে? আমি তো পাতালের।