প্রায় ত্রিশ বছর অবন্তির খোঁজ নেই
একবার ফোন করলে যদি খোঁজ মেলে!
তাই ফোন কল ডায়াল করলাম।
প্রথম বার ফোন কল উঠলো না
দ্বিতীয়বার ফোন বেজে উঠতেই
পরিচিত সেই কণ্ঠস্বর শোনা গেলো।
আমি বললাম, বহু বছর পর ঢাকায় এসেছি,
তাই তোমার খোঁজ করলাম।
অবন্তি বললো, “ব্যস্ত আছি, নতুন প্রেমে মজেছি
নতুন সংসার বুড়োর সাথে
ধানমন্ডি লেকের পাড়ে থাকি
বাসা নম্বর টেক্স করে দেবো, চলে এসো।


আমি ভাবলাম, তাহলে কী অবন্তি চতুর্থ সংসার গড়লো!
বাসা খুঁজে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না
প্লাস্টিকের কার্ড দিয়ে দারোয়ান গেট খুলে দিলেন।
আমি উপরে গিয়ে দেখলাম
অবন্তির চেহারা আগের মতো নেই
শুকিয়ে লাঠির মতো হয়ে গেছে।


দরজা পেরুতেই দেখলাম
ছোট্ট একটা দু’রুমের বাসা
যে ঘরটায় বসলাম সেখানে জায়গা কম
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বই
পুরো রুম জুড়ে শুধু বই আর বই
কোনোটা রবীন্দ্রনাথের, কোনোটা হূমায়ুনের
কোনোটা সামসুর রহমানের!

আমি বললাম এই কি তোমার প্রেমিকেরা?
সে বললো হ্যাঁ।
তিন তিনটে ঘর ভাঙলো, সংসার হলো না
বেঁচে থাকতে তিন পুরুষকে জেনে যেতে চাই
তাই নতুন করে প্রেমে পড়া।