আমার দাদীকে দেখতাম, গালে হাত দিয়ে বসে আছে!
এক আকাশ মেঘ ঘনিয়েছে চাঁদমুখে
জিজ্ঞেস করতাম, কী হয়েছে?
বলতো, কিছু না।
মাঝেমাঝে মা'কে দেখতাম খাটের হেলান দিয়ে অলস নিশ্চুপ!
আমি নিশ্চিত, সহস্র ভাবনা গ্রাস করেছে তাঁকে
জড়িয়ে ধরে বলতাম, কী হয়েছে, মা?
বলতো, কিছু না।
বোনকে দেখতাম, এক আকাশ দুঃশ্চিন্তা নিয়ে
একা একা সময়ের কাছে দেনা করে চলছে, বুঝতাম ঋণ বাড়ছে
সময়ের কাছে যার ধারদেনা তার সময় প্রতীক্ষার।
জিজ্ঞেস করতাম, কী হয়েছে, তোর?
বলতো, কই? কিছু না তো।
হাসতাম। বলতাম, কিছু না! কিছু নাহ্ মানে?
বলতো, গেলি এখান থেকে!
আবার বলতাম, বল কী হয়েছে?
একই উত্তর, কিছু না।
এই ক'বছর আগে গত হলো যে প্রেমিকা
বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ হারিয়ে যেত
পৃথিবীর গহীন বনের নির্জনতা নিয়ে ঘরের কোনে লুকিয়ে থাকতো
মুঠোফোন জ্বলতো, নিভতো, টুংটাং শব্দ গহীনের
সম্বিৎ ফিরে পেলে যদি জিজ্ঞেস করতাম, কী হয়েছে তোমার?
ফুরৎ করে বলে দিতো- কিছু না, কিছু হয়নি তো!
এই 'কিছু না'
'কই? কিছু হয়নি তো!'
'কিছু না তো!'
শব্দগুলো পুরোনো বন্ধুর মতো পরিক্ষিত ডিকশিনারির এক একটি হিরে খণ্ড, জ্বল জ্বল করছে
ভালোবাসি হে, 'কিছু না' তোমাকে
তুমি ভালো থেকো, 'কিছু হয়নি তো!'
ভালো থেকো 'কিছু না তো!'
কবির সাদা কাগজে অথবা রঙিন মলাটে কিংবা
প্রেমিকাদের কন্ঠে যত্নে থেকো তুমি, ভালো থেকো প্রেম-অপ্রেমে।
০৫/০৩/২০২৪ খ্রি.,
স্যার সৈয়দ রোড, ঢাকা