আজ এই প্রহরে পৃথিবীর সকল
বাঁধা বিপত্তি কে পেছনে ফেলে,
তোমার অস্তিত্বকে খুঁজতে বের হবো।
লিখবো তোমার নামে
চির অমর কবিতাখানি "প্রিয়তম"।
স্তব্ধ নির্ঘুম রাত
প্রভাতের ভোরের আকাশে,
নাটাকরঞ্জা রঙের মতো সূর্যিমামা।
তার রশ্মিতে আলোকিত করে
দিক থেকে দিগন্তকে।
তখনি মনে পড়ে যায়,
এই বুঝি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে
তোমার সুদৃষ্টি সুন্দর চাহনির ছোঁয়ায়,
পৃথিবীর রুপের বদল ঘটে।
তখন খুঁজে পাই তোমার অস্তিত্ব।
মেঘময় আকাশ,
গুঁড়ি গুঁড়ি মেঘের গর্জন।
মূহুর্তে বৃষ্টি শুরু হলে,
"প্রিয়তমর"মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে
ভিজতে শুরু করে বৃষ্টিতে।
শুনতে পাই তাঁর চরণের নূপুরের ধ্বনি।
আবার তীব্র বাতাস,
চারদিক দোদুল্যমান।
মনে হয় এই বুঝি " প্রিয়তম"
পালকিতে দোল খেতে খেতে
পড়বে অমর কবিতাখানি।
কোন এক পড়ন্ত বিকেল,
নির্ঝম জায়গায় বসে,
আমি যখন কল্পনার রাজ্যে কিছু ভাবতে থাকি
তখনি আমার কর্ণদয় শুনতে পায় বাতাসের
শো শো ধ্বনি।
হঠাৎ মনে পড়ে যায় সুরেলা সুকণ্ঠে
এই বুঝি গুনগুনিয়ে গান গেয়ে যায়।
"নজরুবীন্দ্র" তোমার ভূয়সি রুপের প্রশংসায় মুগ্ধ।
সেখানে আমি স্বপ্ন বালক
তোমার কতটুকু প্রশংসা দিতে পেরেছি
তা যে অজানাই রয়ে গেল।
অতঃপর, তুমিই পৃথিবী
পৃথিবীই তুমি।
তোমার অস্তিত্বে,
জীবনানন্দের খন্ডিত ছোট্ট;
"রুপসীবাংলা"।