একটি কবিতা লেখা হবে,
কবির মন আজ বেদনাচ্ছন্ন।
তাই প্রেম,ভালোবাসার স্থান নেই
এই করুণাময় কবিতার পাতায়।
যেখানে সন্নিবেশিত হবে,
ভাবমূর্তি করুণ কাহিনী।
কবিতার নাম ১৪৯৬১৪!
হ্যা,আমি ১৪৯৬১৪ বলছি।
আমি এক গর্ভধারিনী মায়ের
স্বপ্নচারী বলছি;
জন্মেছিলেম কোন এক মায়ের,
উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্নের অবলা রূপে।
সকালের রক্তিম সূর্যের রশ্মি,
বৈকালের হিমেল হাওয়া,
পূর্ব আকাশের তারকারাজির মতো,
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে।
কিন্তু, নিয়তির বেলায়
পেয়েছিলেম অভিশপ্ত ১৪৯৬১৪!
স্বপ্নের মতো উড়তে থাকা জীবন
মুহূর্তে মিশে যায় অগ্নিদগ্ধতায়।
আমি তো চেয়েছিলাম,
মোনালিসার প্রতিচ্ছবি ফাতেমা,
সুদৃষ্টি তৃক্ত স্বভাবের মেয়ে তাকিয়া,
হাসির রানী সুস্মিতা শ্রুতির মতো,
বাঁচতে ও শিখতে।
জয় করতে চেয়েছিলাম,
অদৃশ্য সুন্দর এই রূপসী মালাকে।
কিংবা,উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে
টেমস নদীর তীরে,
বসবাসকারী সানজিদার মতো।
যেখানে সুন্দর থেকে সুন্দরতম
পৃথিবীর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে..!
স্বপ্ন যে অধরাই রয়ে গেল,
স্বপ্নের অন্তরায় ধরা দিল
লোভ,লালসা, হীনমন্যতা।
যার করুণ পরিণতি
পৃথিবী আজ নিমজ্জিত।
এই লোভ, লালসা হীন
নরপশু,কুলাঙ্গারকে ছুঁয়ে ফেলা হোক অগ্নিদগ্ধতায়।
পৃথিবী বেঁচে থাকুক তার,
সোনালী আলোর ছায়ায়।
আমি আর চাই না
কোন স্বপ্নচারীর স্বপ্ন,
অধরা থেকে যাক।
পৃথিবী হয়ে উঠুক স্বপ্নের মিলনমেলা।
আমি অন্তিম অন্ধকারে দগ্ধ হওয়া
এক স্বীকারোক্তি অভাগী বলছি।
আমি হাজারো স্বপ্নচারী অগ্নিদগ্ধ নুসরাত বলছি
---------------------------------