অভাব, অভাব, অভাব
অভাবই যেন পৃথিবীর নিত্যসঙ্গী।
চারদিকে শুনি অভাবের আত্মগ্লানি।
যেখানে আমার চোখ যায়,
আমার মন বলে সেখানে অভাবের বসবাস।
কারো ঘরে অন্ন নাই,কারো নাই বস্ত্র
কেউ বা সারাদিন নিরালশ পরিশ্রমের পর
ক্লান্ত দেহখানি মাটিতে রাখার মতো নাই কোন কুটির ।
যেখানে চোখ বুজে স্বপ্ন দেখবে
পৃথিবীকে জয় করার।
আজ ধর্মিয় উৎসব যেন লোক দেখানোর মতো
নয় তো সম্মান গেল বলে,
অথচ তার সংসার চলে না।
অভাবে দিন যায় প্রতিটা দিন যেন দুঃস্বপ্নে ভরা। এমনও মানুষ আছে তার সম্পদের হিসেব জানেনা,
জানেনা সম্পদ কোথায় আছে, কোথায় রাখবে?
তাই সে ভাবছে অন্য গ্রহে যাবে,
বানাবে মস্তবড় রাজপ্রাসাদ।
আবার কেউ কেউ আছে
পুরো দিন যায় পেটভরে খেতে পারে না
নুন পান্তাটুকু।
আশ্চর্য পৃথিবী!
এ যেন সাত আর সতেরোর খেলা।
রোগশোকের কথা আর নাই বা বললাম
তাহলে লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলবো।
হাসুনির মার তো চিকিৎসা নাই
সেই কবে থেকে যে বিছানায় পড়ে রয়েছে
বিছানাই তার নিত্যসঙ্গী।
তার আবার আনন্দ কোথায়?
এক একটা আধুনিক সমরাস্ত্র
মুহূর্তেই পৃথিবীকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে পারে
অথচ এগুলো কি মানুষের উপকারে আসবে?
যদি মানুষই না থাকে কি হবে এসবের ?
না কি আগ্রাসী দেশ লুট করে নিতে চলছে ?
ক্ষুধার্ত দেশগুলোকে_____
সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে ,
নষ্ট হবে পৃথিবীর চেহারা।
শুরু হয়েছে জাহেলিয়া হাঙ্গামার যুগ।
মানুষ নিজেদের ধ্বংসের উপাদান
নিজ হাতে তৈরি করছে।
এ সুখ শান্তিময় পৃথিবী
দুঃখ স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে।