স্তব্ধ নিশি রাত,নির্ঘুম,নিশাচর;আমি উঠেছি,
পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ঘুরতে যাব।
কেউ নয় সঙ্গী,একাই চলছি পৃথিবীর পথে।
যতক্ষন না ফিরবো অপেক্ষায় প্রহর গুনবে।
আমি যাব আফ্রিকার হত দরিদ্র দেশগুলোতে,
যেথায় গিয়ে শুনব তিন প্রহারের অনাহারী জীবন।
আমি যাব যুদ্ধ বিধ্বস্ত শত বছরের গাজায়,কাশ্মীর,
সেথায় তরুণ তরুণীর অধরা স্বপ্নের সঙ্গী হব।
এখানে দেশ একটা,স্বপ্নও একটা,ওরা যুদ্ধ,ওরা বিধ্বস্ত:
সদ্য শিশুর মুখে নাকি যুদ্ধের ধ্বনি__
যে মুখ দিয়ে মায়ের পবিত্র স্তান চুষে,
সেই মুখে গোলাবারুদের দূষিত ছাই আহার করে;
মায়ের পবিত্র কোলের পানে,
বিবীসিকাময় ধ্বংসস্তূপ এদের শেষ বিছানা।
যে চোখে দেখবে প্রকৃতির রূপ লীলা,
সে চোখে দেখে দূর আকাশের বারুদের ধোঁয়া।
সেখানে লাশ আর লাশের গন্ধ__
আমি এবার মধ্যপ্রাচ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিব;
স্বজাতির ভ্রাতৃত্ব ভুলে নরপশুর হাতে কেন থাকছ?
উপদেশ দিতে চাই,এক হও,
পৃথিবীর মুক্তি হোক, ক্লান্ত পৃথিবী,
স্বার্থপর মানুষের ভরে ক্রমশই নিমজ্জিত হচ্ছে।
নিজের দেশেও ওরা পরাধীন জাতি।
ওরা মুক্তি চায়,ওরা বাঁচতে চায়,
ওদের একটা সুপ্রভাত রাত চায়।
ওদের লেলিহান শিখায় পুরায়,
স্বার্থপর ভীনদেশী কাপুরুষ।
আমি দেখেছি পশ্চিমা নরপশু,
পৃথিবীর শত্রু,ওরা পৃথিবীর ধ্বংসের মূল।
ওরা প্রান্তে প্রান্তে আগুন জ্বালায়,
আর আগুনে পুড়ছে দেশ,তরুণ তরুণীর স্বপ্ন।