ফিরে না আসুক এমনই রাত,
বেইলির বুকে গভীর শোকের হতাহত,
ছিঁড়ে নিয়ে চলে যায় অনমিত স্বপ্ন।
অতিম স্মরণে রাঙানো রাতে যেন মৃত্যুর অবয়ব;
কলনের কণ্ঠস্বরে বুকের ভিতরে অনিপন ভালোবাসা।
মা,আমি সোহানি বলেছি; আগুন ধরেছে আমায়,
বাঁচাও;বাঁচাও;এই নিহতের গন্ধ থেকে।
আমি সোহানি মা; তোমার স্বপ্নের আরতি।
অন্ধকারে ধোঁয়ায় নীভে যায় সোনালী দিন
চোখের সামনে করুণার আহাজারি, বাঁচাও;বাঁচাও!
মা,আমি তোমার সোহানি বলেছি,
জানি দেখা হবে না মোর চক্ষুদয়ে তোমার শেষ মুখখানি,
বিধির লিখনে মোরে নিয়ে যায় ২৯ শে ফেব্রুয়ারি।
যদি জানিতে মা,চলে যাবো তোমার বুকের পাঁজর ভেঙ্গে,
তব দিতে না মোরে তোমার ছিন্ন বুক ছেড়ে।
মা,আমি সোহানি বলেছি, নির্মমতা কতদূর হলে
আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যায় মানবতা।
শিশুর পুলিক আলো মিশে যায় বারুদের ধোঁয়ায়।
আগুন, মা,আগুন;সোহানি যে আগুনে জ্বলে যায়,
তোমার মুখের পানে ছিলো না মোর কপালের লিখন।
মা,চলে যাই ,রেখে যাই ২৯ শে ফেব্রুয়ারি।
বলে যাই নিথর দেহ পুড়ে রয়ে যায়,
ফিরে না আসুক এমনই রাত কভু বসুন্ধরায়।
কিসের রঙ্গে মিশে যায় মনুষ্য কুল,
রঙ্গ পৃথিবী মুহূর্তে মিশে যায় অন্ধকারের লেলিহানে
সুখের ইতালির ভিসা পুড়ে যায় অনলের রতে
পৃথিবীর এই পালা বদল,পলকের তরে শেষ হয়ে যায়,
ক্ষনস্থায়ী আনন্দের আভিজাত্য।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে পড়ার স্বপ্ন মিশে যায় এক মুহুর্ত
অগ্নি দহনে,
কিছু নেই,কিছু নেই, শুধু মিথ্যা ধোঁকায় পড়ে রয়ে যায়
মানুষের স্বপ্ন;
এক সেকেন্ড ভরসাহীন পৃথিবী,
কিসের পিছনে ছুটে চলছে মা,আমি সোহানি বলেছি,
এই মৃত্যু বার্তা চির রথী হয়ে রয়ে যাক
ফিরে যাবে কেউ বা কোন ভাবেতেই।।
এমন রাত কভু ফিরে না আসুক, তোমাকে ঠেকেছি,
হয়তো শুনতে পাওনি ধোঁয়ার গন্ধে!
হয়তো শুনতে পাওনি,আমার শেষ বারুদ মিশানো
আহাজারি বাঁচাও:বাঁচাও :বাঁচাও: মা!