এ জীবনটা বিপদ সীমার ঊর্ধ্বে,
চোখের কোটরে বিপদের জয়জয়কার।
দৃষ্টি প্রদীপ যে দিকে যায়,
জীবন যে যন্ত্রণার বেড়া জালে গাঁথা।
সইতে পারিনা এই পার্থিব জগতে।
আনন্দ কি?
এর মহত্ত্ব ভুলতে বসেছি।।
কিন্তু এই রাজ্যের আনন্দ বলতে
দুবেলা দুমুঠো ভাত।।
এর চেয়ে আর কি আনন্দ হতে পারে?
দুঃখের বিষয়!
আজ আমরা অনাহারে দিনের পর দিন।
স্রষ্টার পরম করুণাময় এ ধরায় এসেছি।
ভেবেছিলাম সোনালীর মাঠে,
নিজের করে ঘর সাজাবো।।
কিন্তু হঠাৎ তখন চোখের সামনে ভেসে উঠে
যেখানে ভাই তার ভাইয়ের শত্রু,
বোন তার বোনের,
প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীর,
দেশ তার দেশের,বিশ্ব তার বিশ্বের,
যেন পরস্পর শত্রু ভাবাপন্ন মনোভাব।।
সেখানে আমি যে বড়ই অসহায়।
আজ নিজের কর্ম দোষে প্রকৃতির বিপদ মাথার উপরে।
সূর্যের আলোর মতো আঁকড়ে ধরে আছে।
আমরা নিজেদের ভুল ধরে,
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শোধরাই।
নয়তো চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে,
অভিশপ্ত হয়ে ধরা দিবে প্রকৃতি।।
বিলুপ্ত হয়ে যাবো ডাইনোসরের মতো ।
থাকবে না মোদের পদচিহ্ন বিপদ সীমায়।
অতঃপর, দুবেলা দুমুঠো ভাত চাই,
এটুকু হলেই যে আনন্দ।
ক্ষুধার্ত পেট ভরা ক্ষুধার হাহাকার....