স্বরচিত কবিতা
বৈশাখী দুপুর
গাছের ছায়ায় বসে যখন দূর দিগন্তে চায়।
যে দিকে চায় নিঝুম পুরী সাড়া শব্দ নাই।।
তরতর করে লম্ব কিরণ্ ফাকাঁ মাঠের পর।
খেলছে বুঝি লহরী যেন অসার আড়ম্বর।।
রাখাল ছেলে গাছের তলে চরতে থাকে গাভী।
নলখাগড়ার বাঁশি বাজায় বেসুর তালে ভাবি।।
ঘুঘু পাখি বসলো উড়ে শুকনো গাছের মাথায়।
ঘুরে ঘুরে ডাকছে কেবল নীরস চোখে তাকাই।।
ক্লান্ত পাখি কোথা হতে বসলো ডালে উড়ে।
হা করে সে হাঁপায় শুধু তৃষ্ণায় ছট্ফট্ করে।।
শুষ্ক দেহে সইবে কত জলের সন্ধান করে।
মুর্মূষু হয়ে ঝিমিয়ে পড়ে ক্রন্দন বন্ধ করে।।
ডোবা জলা শুষ্ক ফাটল কোথাও অল্প কাদা।
মাছরাঙাটা বসে ডালে নিরুপায় এক হাঁদা।।
মলীন মুখে দিন গুনে যায় চাতক পাখির দল।
জল পিপাসায় দেহ পুড়ে ছাই চক্ষে নাই জল।।
পুষ্প কাননে শুকনো পুষ্পে মৌমাছি না আসে।
এদের দুঃখ ঘুচাবেনা এই দুপুর বৈশাখ মাসে।।
তাকিয়ে দেখি কড়ই গাছে শুকনো ফল ঝুলে।
তপ্ত সমীর লাগছে গায়ে ঝনঝন করে দোলে।।
ফটিক জল ডাকছে পাখি আতা গাছের ডালে।
জল কোথা সে পাবে এখন খরা গ্রীষ্মের কালে।।
মৌমাছিরা শুকনো হয়ে খুজছে শীতল ঠাঁই।
নলকূপ্ পাড়ে বসলো আসি বিরত হল তাই।।
খালের সঙ্গে মধুর মিলন গাঙের ভালবাসা।
বৈশাখীর এই কিরণ্ তাপে মিলন সর্বনাশা।।