স্বরচিত কবিতা
বসন্তের আবির্ভাব
অভিমান ভুলি বসন্ত আসে ফাল্গুন্ চৈত্র মাসে।
বসন্ত দূতের জবাব দিতে আসিলে বছর শেষে?
শৈত্যের প্রাচীর করিয়া চুর্ণ ভেদিলে বঙ্গ-স্থলে।
বাংলাকে তুমি করিলে নব সাজিল রঙিন ফুলে।।
ওগো বাংলার মর্যাদা স্বামী বাংলা এখন হাসছে।
তোমারে হেরি খুলিয়াছে ভান্ বধূ রূপে সাজছে।।
দূরের পানে কোথায় যেন কোকিল কুহু ডাকে।
নকল করে কোলের শিশু শোনায় তার মাকে।।
ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা ভ্রমর সমীর হল উন্মত্ত।
ফুটিয়াছে ফুল কাঞ্চন, পলাশ্ আরও কত-শত।।
ভোরের হাওয়া নিয়ত বেগে বহিছে স্রোত যেন।
করিয়া বহন ফুলের গন্ধ জামীর বেলে মিশানো।।
রক্তে রাঙা সজ্জিত ফুলে দাঁড়িয়ে শিমুল গাছ।
বৃন্তে বৃন্তে উল্লাসিত হয়ে শালিক্ পাখির নাচ্।।
কৃষ্ণ-চূড়ায়, রাধা-চূড়ায় লোহিত হরিদ্রা ফুেল।
বাস্তবের এই রূপের মিলন্ কৃষ্ণ রাধার কুলে।।
আবলী বন্ধনে ছুটিছে অলি মধু পানের আশায়।
রয়েছে যেথায় অম্রপুস্প ভরেছে শাখায় শাখায়।।
একের অধিক বসছে ফুলে সহিতে পারেনা আর।
ফুলের সহিত পড়ছে কতক্ উঠছে উড়ে আবার।
যুই, জামীর, রজনীগন্ধা ফুটেছে আরও বেলী।
প্রজাপতি আর ভ্রমর ভারে ঢলে পড়ে চামেলী।।