স্বরচিত কবিতা
পারের তরী
রং-বেরঙের মাঝে ভুলে, সাজলি নানা সাজে।।
পান্ডুলিপি শুণ্য করে, ভাবনা কেন আজে?
উল্লাস আর রং তামাশায়, ভবের এই খেলায়।
হাতের সময় ফুরিয়ে গেল, পারে যাবার বেলায়।।
নাইকো বাকী সময় বেশী, দেখরে ভেবে এবার।
সময় ভিক্ষা চাইলে দিবে, সাধ্য আছে কার?
সাদা পুঁথি হাতে যাদের, করছে তারা রোদন।
পূর্ণ পুঁথি হাতে সাজিয়ে, আছে হাস্য বদন।।
পুঁথির হিসাব হাতে ধরে, বসে আছিস ওরে।
এপার ছাড়ি যেতে হবে, তোরে আপন ঘরে।।
হেলায় ফুরায় সকাল দুপুর, সন্ধ্যা এল ওই।
পারের ঘাটে বসে কাঁদিস, করিস কেন ভয়।।
খুইয়ে দিয়ে সারাটা দিন, পারের ঘাটে ভাবিস।
শ্রমে ফাঁকি দিয়ে কেন, মজুরি হিসাব করিস।।
তিনটে মাথার মালিকরে তুই, এখন উপায় নাই।
একটি মাথা ছিল যখন, ভাবনা ছিল কোথায়?
মজুরি তোর হেথায় নাই, সেথায় গিয়ে পাবি।।
পান্ডুলিপি ভরে যখন, ভব-পারে যাবি।
শুন্য হাতে আসার পরে, পুঁথি সাজিয়ে নিয়ে।।
যাবে শুধু পুঁথি তোর, সঙ্গী ছাড়ি দিয়ে।।
এটা আমার ওটা আমার, সবই রইলো পড়ে।
যাবার বেলা মিলবে যত, শুন্য হবে গড়ে।।
সঙ্গী সাথী কেউ যাবে না, পারে যাবার বেলা।
এদের নিয়ে পূরণ হল, ভবের মাঝে খেলা।।