আমি প্রত্যাখিত এক ব্যর্থ পুরুষ___
পাখির মোলায়েম পালক আর কিচিরমিচির স্নিগ্ধতার অনুপম প্রেমে পড়ে
আমি পাখির কাছে গিয়েছিলাম,
কি এক নিধারুণ অবহেলায় আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুকৌশলে আমাকে বলে দিয়েছে, আমার নাকি পাখির মতো ডানা নাই।
আমি নাম দিয়েছি উপেক্ষা।
আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল আয়নার মতো,
তখন থেকে আর কোনো সৌন্দর্য আমাকে মোহিত করে না। ভাংগা টুকরো গুলো দু'হাতে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে থাকি। বুকের মধ্যে একটা ধু-ধু মরুভূমি পুষে
বাঁচতে থাকি। কি এক বিচ্ছিরি রকমের দিনরাত্রি।
তারপর
সাগরের বিশালতা আমাকে মোহিত করে, আমি আমার দু'টি হাত বাড়িয়ে দিই, তপ্ত রোধে ঘুরে বেড়ানো ভিখিরির ন্যায়। সাগরও আমাকে পত্যাখ্যান করলো, ফিরিয়ে দিল অসহায় চালচুলোহীন দুটি হাত। বলেছিল আমার নাকি বিশালতা নেই। শামুকের মতো হাত দু'টি ঘুটিয়ে নিয়েছিলাম। একবার নদীর বহমানতাও আমাকে মোহিত করে, একসাথে বয়ে যেতে চেয়েছিলাম।
নদীও বলল তা-ই ___
আমি প্রত্যাখিত এক ব্যর্থ পুরুষ___
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল জবাকুসুমসঙ্কাশ।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল শিউলি ফুলের কলি।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল জোৎস্না রাত।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল হিজল বন।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল শিরিশ ফুল, বকুল, পুকুর পাড়ের কদম, পুকুর পাড়।
আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল টঙ্গী কলেজের কিছু বিকেল।
বারংবার প্রত্যাখিত হয়ে,
অবশেষে আসি আমি পাহাড়ের কাছে,
পাহাড় আমাকে প্রত্যাখ্যান করলো না। নিবিড়ভাবে কাছে টেনে নিয়েছে। আমার বুকের বাপাশটায় বাসা বেধেছে। আর আমি নাম দিয়েছি নিঃসঙ্গতা।
কবিরা মূলত বুকের মধ্যে পাহাড়'ই পুষে___