বসন্তবালক তার প্রহর গুনে নিঃসঙ্গতায়
মনে এক মহাবিশ্ব রহস্য,
আধার নিকষ ব্ল্যাক হোলে তার চেতনা বিস্তৃত অসীমে,
সময়ের সাথে সমানুপাতিক হারে চিন্তা বাড়ে,
বালকের বসন্ত কোথা হতে আসে কিবা কোথা দিয়ে যায়,টের নাহি পায়।
কাশফুল দেখে প্রাণে সজীবতার স্পৃহা জাগার কথা ছিলো,বিরক্ত কেন লাগছে?
অদ্ভুত,এক মানুষ উচু দন্ডে ভাল্লুকের লোম মাখানো,
ছিহ!
কিম্ভুত!
এইটার প্রতি মানুষের এত আগ্রহ?
মৃদু-শীতে রৌদ্রের আদ্রতাপে ভালো লাগার কথা ছিলো,
বসন্তবালক মুখ ভরে কেন গালি দিচ্ছে নচ্ছার সূর্যকে?
বালক ভাবে,
শহর,রাস্তা,ট্রাফিক,দালান,সংসারধর্ম সবকিছুর অন্তিমে চিরন্তন জীবনাবসান,
কি এমন দৈবপ্রভাব তাকে বসন্তবালকে পরিনত করেছে যার বিনাশ নেই,সমাধা নেই,ধ্বংস নেই।
বসন্তের কোনো প্রভাব নেই,
বসন্ত বালক আবিষ্কার করে সে অনুভূতির বিনময়,
যে বিনিময়ে হারানোর শর্তছিলো,
হারিয়ে যাওয়া কথা ছিলো জাগতিকজ্ঞানের উর্ধ্বে,
কোথায় হারাবে?
ভাবতে ভাবতে সে স্থান খুজতে থাকে,
বসন্ত বালক বুড়িয়ে যেতে থাকে,
জীবনাবসানের অন্তিমে পৌঁছে চিরজীবী হওয়ার ঠিকানাটা খুজে পায়,
দ্রুত উঠে মনের দুয়ারে কড়া নাড়তে যায়,
কড়ার ওজন এত ভারী!
নাকি তার হাতের সামর্থ্য ফুরিয়ে এসেছে?
দরজার খোলার উপায়ন্তর না পেয়ে ভাবে
মনের দুনিয়াতেও হারানোর জায়গা নেই,
সবই চেনা,
চেনা জায়গায় কি হারাতে আছে?