এই সমুদ্র সফেদ উত্থান ছিলো তোমার দুই চোখের মায়ায়,
রংবাহারি বৈশাখ আসে যায়,একলা পড়ে রও ঘরের কোনো কোণে,
কেন?
সেই স্মৃতি-বিস্মৃতির স্নেহ-মায়াময় আবেদনে
কেন সে আসে মনে?
হৃদয়ে ভাঙায় ঘুম,
সমুদ্র সফেদ মোহ তার নীল স্নানে
কোনো এক প্রখর রৌদ্রস্নাত গরমে শীতল হওয়া মৃদু বাসনা কেন দোলা দেয় অতৃপ্ত এ প্রাণে?
কার জন্য মরে বেঁচে উঠি বারবার শতাব্দীর ব্যার্থতম কবির মতো,
একটা কালবোশেখীর আশায় আকুল প্রাণ কার জন্য কেঁদে ওঠে?
নিভৃতে কাকে লালন করা যায়,
যার নি:সঙ্গতা আমারে বিরহের বেদনায় ভোগায়?
কার চোখের মায়ার কথা আমি বলি,
যার চোখের সমুদ্র সাঁতার কাটার সাহস না করে ডুবে যেতে চাই,
এই পুনর্জন্মের দু:সাহস কার প্রতি উৎসর্গ?
কার প্রতি আমার সন্ধ্যা গুলো সমর্পিত হয়,
বেদনা বিধুর মিছরির মতো?
সে যে কি রহস্য তোমায় জুড়ে,
তার মর্মভেদী বাণ,দৃষ্টির গভীরতা আমার নাগালের বাইরে,
আমার হাত তোমার স্পর্শ চায় না,
হৃদয় চায় বন্ধন,
এলোকেশে হাওয়ায় উড়তে,
জীবনের রহস্য খুঁজতে,
জন্মান্তরের পথে ছুটতে,
তাই বন্ধন চায় প্রাণ।
সে কি অর্থবহুল হাওয়া আমার ফিসফিসে বলে যায় দক্ষিণা সমীররের দিক,
আমি ছুটে চলি হারিয়ে দিগ্বিদিক,
নিরন্তর রহস্য খুঁজে শূন্য হাতে
এসে শিশির ঘাসে শুয়ে ভাবি,সে আসলে কি?
যা বিগত তা আসলে কি?
যা অতীত তা এক জীবন বিশ্বযুদ্ধ,
মুন্ডুকাটা সৈনিকদের রক্তের কসম আমার প্রেম সত্য,
আমি যুদ্ধে উৎসর্গ করেছি আমার প্রেম,
প্রেম সমর্পিত বিপ্লবের নিত্য চরণে,
যেখানে প্রেয়সীর কান্না আমার কানে তলোয়ারের ঝনঝনানি,
ঘোড়া খুঁড়ে আহত সৈনিকের চিৎকার প্রেমের বাঁশি।
বিশ্বযুদ্ধের শেষে বীর দর্পে হেসে উড়িয়ে নিশান আমিই শতাব্দী,আমি চে গুয়েভারা,
বিপ্লব স্পন্দিত বুকে যেন মনে হয় আমিই প্রেমিক,
ক্লিওপেট্রা, সিজার, শিরি-ফরহাদ, আমিই ইউসুফ।
আমি শতাব্দীর বুক চিড়ে উঠে আসা এক প্রেমিক সৈনিক।
যার রক্তিম হৃদয় বাঁচিয়ে এনেছিলো একটি আহত গোলাপ,
তার প্রেয়সীর জন্য।
নিয়তির গাঢ় অবহেলায় বেড়ে ওঠা তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ,
চিরন্তন গন্তব্যের সাক্ষাৎ পায় প্রেমের সংক্রান্তিতে।