মেঘেরাও যে কথা বলে,কখনো শুনেছো কি?
বিস্তীর্ণ বালুকাময় জনপদহীন মাঠ ও কথা বলে,কখনো শুনেছো কি?
হৃদয়ে বৃক্ষ জন্মাতে দেখেছো কখনো?
এ বৃক্ষের মাথার ওপর মেঘের সাথে কথা বলে,
মরুভূমির চেয়ে রুক্ষ একটা মাঠে,
এই গাছটা তৃষ্ণা মেটায় আমার সজীব রক্তিম হৃদয়ে,
গাছটার নাম কি তা তুমি জানো?
ভালোবাসার গাছ হয় কখনোও শুনেছো?
এ গাছটির শেকড়,হৃদয়ের পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
গাছটির একটি রোগ ছিলো,
যেন ফুল ফুটতোই ঝড়ে পড়ার জন্য,
তোমার স্পর্শে সে হৃদয় মাঠে যেদিন ভূমিকম্প হলো,
আকাশটা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে শুরু করলো তোমার নামের অবিরাম বর্ষণ,
হৃদয়ের ছন্দের গতিবেড়ে গেলো কয়েকগুণ,
সেদিন থেকে নিয়মিত ফুল ফুটতো,
সে ফুলের ঘ্রাণে ঘোরের মধ্যে থাকতো হৃদয় পৃথিবীর পুরো জনপদ,
ফুল থেকে ফল হলো,
সে ফল খাওয়ার অধিকার তোমার ছিলো,
কিন্তু দৈবের পরিহাস হৃদয়কে জ্বালালো অবহেলার অনলে,
বোধবুদ্ধির বিকার ঘটালো সমস্তের অন্তরালে,
রোগাক্রান্ত বৃক্ষটিকে সুস্থ করে তোলার কি দরকার ছিলো,
যদি পরিকল্পনাই থাকে তা সমূলে উৎপাটন,
গাছটি উপড়ে ফেলেছো শেকড় গুলো হৃয়ের ধমনী-শিরায় আষ্টেপৃষ্টে ছিলো,
ক্ষতবিক্ষত হলো ছোট্ট একটি হৃদয়,
তাতে তোমার কি-বা আসে যায়,তুমি তো আবেগ দেখোনি,তোমার প্রতি গাছটির কৃতজ্ঞতা দেখোনি,
কতগুলো সুপুষ্ট ফল কত যত্নে রক্ষা করেছিলো গাছটি।
একটি গাছের মৃত্যুতে,
মৃত্যু হলো আকাশের,বিস্তৃর্ণ শূন্য মাঠের,একটি সজীব ছন্দময় রক্তিম হৃদয়ের।